সিলেটে পাল্টে গেছে পর্যটকেন্দ্রগুলো, সরব ডাহুক-ঝিঁঝিঁ পোকা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ৯:২৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলঘেঁষা পাথুরে নদী, বন—কী নেই সিলেট অঞ্চলে! ছুটি পেলেই ভ্রমণপ্রিয় অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসেন দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ খ্যাত পুণ্যভূমি সিলেটে। বর্তমানে করোনার প্রভাবে জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো একেবারেই সুনশান। জাফলং, লালাখাল, পাংথুমাই, লোভাছড়া, উৎমাছড়া, বিছনাকান্দি, রাতারগুল ও ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকাগুলো এখন একেবারেই নীরব।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে গত ৩০ মার্চ সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেটে পর্যটকদের আসতে নিরুৎসাহিত করেছেন। এর পর থেকেই যেন পাল্টে গেছে সিলেটের পর্যটকেন্দ্রগুলোর চেহারা।
পর্যটকের অনুপস্থিতিতে প্রকৃতির সরব উপস্থিতি এখন বর্ণনা করার মতো। অন্যান্য সময়ে যেখানে থাকতো লোকারণ্য, এখন সেসব জায়গায় সুনশান নীরবতা। সকাল থেকে সন্ধ্যা কেটে যাচ্ছে একই নিয়মে। ভরদুপুরে ডাকছে ডাহুক আর সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁ পোকা। এমন চিত্র এখন সিলেট ও এর আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর।
সিলেটের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে প্রকৃতির রূপ-লাবণ্যে ও সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। জাফলং ও বিছনাকান্দিতে পাথরের মাঝ দিয়ে ছলাৎ ছলাৎ পানির আওয়াজন বেশ জোরেই শোনা যাচ্ছে এখন। লালাখালের স্বচ্ছ নীল পানির আর রাতারগুলের সোয়াম ফরেস্টের মনভোলানো দৃশ্যপট যেন প্রকৃতি আবার নতুন করে সাজিয়েছে প্রকৃতি।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দন সাহা জানান, শুধু পর্যটন নয়, সকল ব্যবসায় করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ছে। হোটেল-মোটেলগুলো শূন্য।