মৌলভীবাজারে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেলেন ৫৮৫ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬৬০ জনের মধ্যে ৫৮৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া নতুন করে আরও ৪ জনসহ ৭৯ ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
এ দিকে জেলার সিভিল সার্জন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন- কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে সামাজিকভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয় রয়েছে। ফলে সচেতনতার পাশাপাশি করোনাভারাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মৌলভীবাজারে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আছে কি-না তা নিশ্চিত হতে জেলার ৭ উপজেলার ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন অফিসের তথ্য মতে- গত মার্চ মাসে মৌলভীবাজার জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে ৬শ’ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন। তবে পাসপোর্টের স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী তারা মৌলভীবাজার জেলার অধিবাসী হলেও অনেকেই অন্য ঠিকানায় বসবাস করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এদিকে সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, নতুন করে মৌলভীবাজারের দুইজনকে সিলেটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রবাস থেকে আসা ও তাদের সংস্পর্শে যাওয়া ২০ ব্যক্তির আলামত পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. তৌহীদ আহমদ বলেন, দুই ব্যক্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে সিলেট পাঠানো হয়েছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ভয় রয়েছে। এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে করোনাভারাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মেকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে মৌলভীবাজার জেলায় ১৩৩টি আইসোলেশন বেড পস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১৮, রাজনগরে ৫০, জুড়ীতে ৩০, কমলগঞ্জে ২০, বড়লেখায় ৫, কুলাউড়ায় পাঁচটি এবং শ্রীমঙ্গলে ৫টি বেড রয়েছে।