জৈন্তাপুর অন্তঃসত্ত্বা ধর্ষিতাকে রেখে অন্যত্র বিয়ে, ধর্ষক গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২০, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সামাজিক অনুষ্ঠানে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল মেয়েটি। কিন্তু অনুষ্ঠানে আনন্দ করা হয়নি তার। রাতের আঁধারে নিকটাত্মীয় কর্তৃক ধর্ষিত হয় মেয়েটি। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটিকে নিয়ে শুরু হয় নানা নাটক। সেই নাটকে খলনায়কের ভূমিকা পালন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয় মেয়ের পরিবারের মুখ। কিন্তু ধর্ষক ছেলের পরিবারের দাবিকৃত যৌতুক দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে আর হয়নি। ইউপি সদস্যের প্রশ্রয়ে রাতারাতি অন্যত্র বিয়ে করে ছেলেটি। ধর্ষিতা যুবতীটি এখন প্রায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর ধর্ষকের ঘরে আসা স্ত্রীও সন্তানসম্ভবা। ধর্ষণ ঘটনার প্রায় আট মাস পর ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার তাকে আদালতে হাজির করে পাঠানো হয়েছে জেল হাজতে।
ধর্ষক তাজুল ইসলাম (২২) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মুটগুঞ্জা এলাকার রহমত আলীর ছেলে। গত শনিবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার বরাত দিয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি শ্যামল বনিক জানান, গত বছরের ২৫ জুলাই বাড়িতে অনুষ্ঠানের কথা বলে তাজুলের মা তার এক নিকটাত্মীয় মেয়েকে বাড়িতে আনেন। ওই রাতে তাজুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে উভয় পরিবার বিয়েতে সম্মত হয়। বিষয়টি আপোস নিষ্পত্তির মধ্যস্থতা চালান স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ। কিন্তু বিয়েতে তাজুলের পরিবার যৌতুক চাওয়ায় মেয়ের পরিবার তাতে রাজি হয়নি। ইউপি সদস্য শামীম আহমদের কাছে সালিশ বিচার থাকাবস্থায় তড়িগড়ি করে তাজুলকে বিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। ইউপি সদস্যও এ ক্ষেত্রে নিরব ভূমিকা পালন করেন। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ ইউপি সদস্য সালিশ বিচারে বিলম্ব করায় তাজুল অন্যত্র বিয়ের সুযোগ পেয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা করে ধর্ষিতা ওই যুবতী মেয়েটি। এরপর থেকে তাজুল পলাতক ছিল। গত শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাজুলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাজুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি শ্যামল বণিক।