বড়লেখায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তৎপর ইউএনও : দোকানে ক্রেতাদের অস্বাভাবিক ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০২০, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব ও সাদেকুর রহমান সাজু:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ে মোদি দোকানগুলোতে গত ১৫ দিন ধরে ক্রেতাদের অস্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করলেও এগুলোর তোয়াক্কা না করে ডাক্তার খানার মতো সিরিয়েল দিয়ে লোকজন তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত নানা মালামাল মজুদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সরবরাহ না থাকার দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরাও সোয়াবিন, আটা, ময়দার অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। কোন কোন ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রির জন্য গোপন গুদামে নানা মালামাল মজুদ করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
গত ১৫ দিন ধরে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের পাইকারী ও খুচরা মোদি দোকানগুলো ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। করোনার প্রভাবে দোকান বন্ধের আশংকায় অনেকেই একসাথে ৪-৬ মাসের খাদ্য সামগ্রী ক্রয়ে ঝাপিয়ে পড়েছেন। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ না থাকার দোহাই দিয়ে চাল, তেল, আলু, পেয়াজসহ বিভিন্ন পন্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করতে থাকে। তবে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা লুটার উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। বুধবার পৌরশহরের স্টেশন রোড, পৌর মার্কেট, উত্তর চৌমুহনীর দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকতে দেখা যায়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, তারা আড়তদার ও ডিলারদের নিকট অসহায়। তীর মার্কা ৫ লিটারের সোয়াবিন তেল ৪৬০ টাকায় হক ব্রাদার্স ও সমছু ভেরাইটিজ স্টোর বিক্রি করলেও গত সোমবার থেকে ৪৯০ টাকায় বিক্রি শুরু করেছে। যার প্রভার খুচরা বাজারে পড়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রীর সরবরাহ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে।
ইউএনও মো.শামীম আল ইমরান জানান, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর কোন ঘাটতি নেই। কোন অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অধিক মূল্য আদায়ের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত কয়েকজন অসাধু অতি মুনাফালোভি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।