সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একাই রজত কান্তি গুপ্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মার্চ ২০২০, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
স্বাধীনতার পর এমন দৃশ্য কখনোই দেখা যায়নি। মহান স্বাধীনতা দিবসে শহিদ মিনার নীরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নেই কোন হাক-ডাক নেই কোলাহল, নেই শ্রদ্ধাঞ্জলীর সেই রাশি রাশি ফুল। তার এক মাত্র কারণ করোনা ভাইরাস। এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সকল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সরকার। সরকারের নিরাপত্তামূলক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের জনগন।
জাতীয় দিবস সমুহে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকেন সিলেটে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত।
আজ ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। রজত বরাবরের মতো ঘুম থেকে উঠে রওয়ানা হোন শহিদ মিনারের উদ্দেশ্যে। সম্মিলিতভাবে যাওয়া যাবেনা, একা যেতেতো আর বাধা নেই। তিনি একাই আজ সকালে শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে এসেছেন।
তার পর ফেইসবুকে একটি আবেগ জড়ানো পোস্ট দেন।
সুরমানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি এখানে তোলে ধরা হলো:
শহিদমিনার প্রতিষ্ঠার পর মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন দৃশ্য কোনদিন দেখিনি কেউ।যদিও কারণটা প্রায় সবার জানা।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুকি এড়াতে এই সময়োপযোগী সিন্ধান্ত।স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবছর শুধু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাতিল করেছেন সরকার।
আজ ভোর থেকে ঘুম আপনাআপনি ভেঙ্গে গেল।ভোর সাড়ে পাঁচ টায় কথা হয় শহিদমিনারের দায়িত্বরত কর্মী দুদু’র সাথে।মনটা তখন থেকে ছটফট করছে।জানি সব ফুলের দোকান বন্ধ।বিকল্প চিন্তাও মাথায় ছিল।বাসা থেকে বের হয়ে হাফ সার্টার ফালানো একটা ফুলের দোকানে অনুরোধ করে একটা ফুলের মালা বানিয়ে এলাম শহিদমিনারে। সুনসান নীরবতা যেন চারিদিকে।
মালাটা শহিদবেদিতে রেখে মনে মনে বললাম জাতীয় দিবসে এমনদিন যেন আর কোনদিন না আসে।
আসুন নিরাপদ থাকি
সমাজকে নিরাপদ রাখি।
মহান স্বাধীনতা দিবসে সকল বীর শহিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনাই বিনম্র শ্রদ্ধা।্এমন কখনোই দেখা যায়নি।
শহিদমিনার প্রতিষ্ঠার পর মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন দৃশ্য কোনদিন দেখিনি কেউ।যদিও কারণটা প্রায় সবার জানা।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুকি এড়াতে এই সময়োপযোগী সিন্ধান্ত।স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবছর শুধু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাতিল করেছেন সরকার।
আজ ভোর থেকে ঘুম আপনাআপনি ভেঙ্গে গেল।ভোর সাড়ে পাঁচ টায় কথা হয় শহিদমিনারের দায়িত্বরত কর্মী দুদু’র সাথে।মনটা তখন থেকে ছটফট করছে।জানি সব ফুলের দোকান বন্ধ।বিকল্প চিন্তাও মাথায় ছিল।বাসা থেকে বের হয়ে হাফ সার্টার ফালানো একটা ফুলের দোকানে অনুরোধ করে একটা ফুলের মালা বানিয়ে এলাম শহিদমিনারে। সুনসান নীরবতা যেন চারিদিকে।
মালাটা শহিদবেদিতে রেখে মনে মনে বললাম জাতীয় দিবসে এমনদিন যেন আর কোনদিন না আসে।
আসুন নিরাপদ থাকি
সমাজকে নিরাপদ রাখি।
মহান স্বাধীনতা দিবসে সকল বীর শহিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনাই বিনম্র শ্রদ্ধা।