ভয়ডরহীন ক্রিকেট জাগরণের নায়ক আমাদের কৌশিক…
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মার্চ ২০২০, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
এ এইচ আরিফ:
ধূমকেতুর মত আবির্ভাব। আর রাজ্য জয় করে রাজার মত বিদায়। বলছি মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক এর কথা। বাংলাদেশের ক্রিকেট অগ্রযাত্রার প্রধান সেনাপতি। রোল মডেল। মহাতারকা। ভয়ডরহীন ক্রিকেট জাগরণের নায়ক। আমাদের ক্রিকেট বীর।
মনে আছে সময়টা ১৯৯৯ সাল হবে একটি জাতীয় দৈনিকে নিউজ দেখলাম এক কিশোরকে নিয়ে। নাম কৌশিক। জাতীয়লীগে গতির ঝড় তুলছে নড়াইলের কৌশিক নামের কিশোরটি। ঢাকায় খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সে সময় জাতীয় লীগের ম্যাচ ছিলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। একটু আধটু ক্রিকেট খেলতাম তাই ক্রিকেটের ভক্ত ছিলাম। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে গেলাম। এক কিশোর ছেলে লম্বা রানআপে বল করছে। একের পর এক বাউন্সার আর গতিতে নাস্তানুবাদ হতে দেখলাম সে সময়ের বাঘা বাঘা ব্যাট্সমেনদের। সেদিনই বুজেছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের অমূল্য সম্পদ হতে যাচ্ছে এই কিশোর।
কিশোর কৌশিক এখন মাশরাফি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। শুরুর দিকের সেই গতি আর আগুনঝরা বোলিং অবশ্য আর পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেননি। বারবার ইনজুরিতে পড়ে ক্ষতি হয়েছে ক্যারিয়ারের। বোলিং একশনও পরিবর্তন হয়েছে। এতকিছুর পরও কামবেক করেছেন রাজার মত। ইনজুরি থেকে ফিরে যে বোলিং করতেন কখনো মনে হতোনা ছুরিকাঁচির নিচে ছিলো মাসখানেক আগে। একজন মাশরাফি এমনই। সাহস মনোবল আর আল্লাহ প্রদত্ত শাররীক সক্ষমতা এই তিনের সমন্বয়ে মাশরাফি অন্যান্য। আর বারবার ছুরিকাঁচির নিচে না গেলে অন্য এক মাশরাফিকে পেত ক্রিকেট বিশ্ব।
সিলেটে মাশরাফির অধিনায়ক অধ্যায় শেষ হলো। হাজার হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত থেকে বিদায় জানালো এই ক্রিকেটবীরের অধিনায়কত্ব। বিদায় জানালো ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিসিবি কর্মকর্তা। মাশরাফির মত একজন কিংবদন্তিকে বিদায় জানাতে পেরে সিলেটবাসীও গর্বিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই রত্ন দেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে সেটাই সবার প্রত্যাশা ।