বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল নগরীর লালবাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২০, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের মহাজনপট্টীর পর বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল নগরীর বন্দরবাজারের লালবাজার এলাকা। মঙ্গলবার রাতের এ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে এবং আগুন আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতো বলেই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
লালবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ লালবাজারের লাভলী হোটেলের পঞ্চম তলায় আগুন দেখা যায়। এ সময় অনেকেই দৌড়ে নিচে নামেন। খবর পেয়ে দ্রুত দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থল গিয়ে দেড়ঘণ্টার প্রচেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে লাভলী হোটেলের পঞ্চম তলার সব মালামাল পুড়ে যায়। পাশ্ববর্তী এলাহী রেস্ট হাউসেও আগুন লাগে।
সিলেট দমকল বাহিনীর উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার জানান, সড়ক ছোট হওয়ায় দমকল বাহিনীর গাড়ি মূল সড়কে রেখে কাজ করতে হয়। গাড়ি ভেতরে নেওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতো।
তিনি বলেন, লালবাজার এলাকা খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এবং এখানকার সড়কগুলো ছোট ছোট। এসব এলাকায় কীভাবে হোটেল পরিচালনা করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আগুন ভবনের পঞ্চম তলায় না লেগে অন্য কোথাও লাগলে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়ত বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট নগরীর মহাজনপট্টী এবং লালবাজার অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। পুরো মহাজনপট্টীজুড়ে বিভিন্ন রাসায়নিকের গুদাম। আর লালবাজারে হচ্ছে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্ট হাউস ও বিভিন্ন আড়ত। গেল বছর দু’দফা মহাজনপট্টী এলাকায় আগুন লাগার পর অগ্নিকাণ্ডের জন্য এ এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ওই এলাকার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নেই অগ্নিনির্বাপণী ব্যবস্থা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও নেই এই এলাকায়। তাই ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ডে মহাজনপট্টি এলাকায় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা ফায়ার সার্ভিসের।