সিলেটে তবুও পরীক্ষার মুখোমুখি শফিক চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মার্চ ২০২০, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
ওয়েছ খছরু:
সব হারালেন শফিক চৌধুরী। মহাজোট প্রার্থীকে উপহার দিলেন এমপিত্বও। শুধু দেনইনি নিজেও খেটেখুটে বিজয়ীও করেছেন। একবার নয়, পরপর দুইবারই ছাড় দিলেন তিনি। পড়ে থাকলেন দল নিয়ে। ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অবশেষে এই পদ থেকেও বাদ পড়লেন সিলেট আওয়ামী লীগের নতুন ফরম্যাটে। এখন ‘আওয়ামী লীগ নেতা’ হিসেবেই পরিচিত।
সামনে সুযোগ আসছে তার। কিন্তু তাতেও পরীক্ষার মুখোমুখি তিনি। পদবির জন্য লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। শফিকুর রহমান চৌধুরী ছিলেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে বিএনপি’র তুখোড় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে তিনি এমপি হন। এরপর থেকে সবার নজরে তিনি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদও। তখন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ‘জাঁদরেল’ পলিটিশিয়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম। সবাইকে চমকে দিয়ে শফিক চৌধুরী হন সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ ৮ বছর ছিলেন নেতৃত্বে। এই সময়ের মধ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পারেননি। নিজে ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যা পেলেও দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হন। বরং বিশ্বনাথসহ কয়েকটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এসে পড়ে তার ওপর। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের ভেতরে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই পদ হারান শফিক চৌধুরী। পাশাপাশি নিজ এলাকায়ও ছিলেন বিদ্রোহের মুখে। একই সঙ্গে নিজ এলাকার আরেক সন্তান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন তার প্রতিপক্ষ। ফলে সব মিলিয়ে নিজেকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করেছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শীর্ষ নেতারা। এদিকে শফিকুর রহমান চৌধুরী পদ হারালেও মাঠ ছাড়েননি। আগের মতোই সরব তিনি। নিজ এলাকা বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর চষে বেড়াচ্ছেন।
সিলেট আওয়ামী লীগের সব অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকছেন। নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি অগ্রভাগে রয়েছেন। এখন চলছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। জেলা সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানসহ সিনিয়র নেতারা সেই প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। এই পদে এমপিদের মধ্যে কাউকে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ কারণে কপাল পুড়তে পারে শফিক চৌধুরীর। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় আছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী। গত ৫ই ডিসেম্বর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে সভাপতি পদে ইমরান আহমদের নাম শোনা গিয়েছিলো। পরে ইমরান আহমদ নিজ থেকে পিছিয়ে পড়েন। আর সম্মেলনের মাধ্যমে বাদ পড়েন শফিকুর রহমান চৌধুরী।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। তার সঙ্গে একজন কর্মীবান্ধব নেতা সিনিয়র সহ- সভাপতি হওয়া প্রয়োজন। এতে করে সবার আগেই আসে শফিক চৌধুরীর নাম। তারা জানান, গত ৫ই ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন সিলেট ছাড়ার প্রাক্কালে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে সিলেটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শফিক চৌধুরী যাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়ন পান সে বিষয়ে তিনি সিলেটের নেতাদের নির্দেশনাও দিয়ে যান। পাশাপাশি জাতীয় পরিষদ সদস্য রাখার ব্যাপারেও মত দেন। কিন্তু এই ক’মাসে বদলে গেছে অনেক কিছু। নতুন ফরম্যাটে আওয়ামী লীগে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে তার বিরোধীরা আরো সরব হয়েছে। তবে শফিকুর রহমান চৌধুরী এ নিয়ে পুরোপুরি নীরব। তিনি জেলা কমিটি গঠনের কোনো প্রক্রিয়ায়ই অংশগ্রহণ করছেন না। বরং পরিস্থিতি অবলোকন করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। যতদিন বেঁচে থাকবো দল করবো। নেত্রী যে কাজ দেবেন সেটি পালন করবো। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া যেকোনো দায়িত্ব তিনি পালনে প্রস্তুত বলে জানান।’ সব হারালেন শফিক চৌধুরী। মহাজোট প্রার্থীকে উপহার দিলেন এমপিত্বও। শুধু দেনইনি নিজেও খেটেখুটে বিজয়ীও করেছেন। একবার নয়, পরপর দুইবারই ছাড় দিলেন তিনি। পড়ে থাকলেন দল নিয়ে। ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অবশেষে এই পদ থেকেও বাদ পড়লেন সিলেট আওয়ামী লীগের নতুন ফরম্যাটে। এখন ‘আওয়ামী লীগ নেতা’ হিসেবেই পরিচিত।
সামনে সুযোগ আসছে তার। কিন্তু তাতেও পরীক্ষার মুখোমুখি তিনি। পদবির জন্য লড়াই করতে হচ্ছে তাকে। শফিকুর রহমান চৌধুরী ছিলেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে বিএনপি’র তুখোড় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে তিনি এমপি হন। এরপর থেকে সবার নজরে তিনি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদও। তখন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ‘জাঁদরেল’ পলিটিশিয়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম। সবাইকে চমকে দিয়ে শফিক চৌধুরী হন সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ ৮ বছর ছিলেন নেতৃত্বে। এই সময়ের মধ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পারেননি। নিজে ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যা পেলেও দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হন। বরং বিশ্বনাথসহ কয়েকটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এসে পড়ে তার ওপর। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের ভেতরে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই পদ হারান শফিক চৌধুরী। পাশাপাশি নিজ এলাকায়ও ছিলেন বিদ্রোহের মুখে। একই সঙ্গে নিজ এলাকার আরেক সন্তান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন তার প্রতিপক্ষ। ফলে সব মিলিয়ে নিজেকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করেছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শীর্ষ নেতারা। এদিকে শফিকুর রহমান চৌধুরী পদ হারালেও মাঠ ছাড়েননি। আগের মতোই সরব তিনি। নিজ এলাকা বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর চষে বেড়াচ্ছেন। সিলেট আওয়ামী লীগের সব অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকছেন। নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি অগ্রভাগে রয়েছেন। এখন চলছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। জেলা সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানসহ সিনিয়র নেতারা সেই প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। এই পদে এমপিদের মধ্যে কাউকে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ কারণে কপাল পুড়তে পারে শফিক চৌধুরীর। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় আছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী।
গত ৫ই ডিসেম্বর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে সভাপতি পদে ইমরান আহমদের নাম শোনা গিয়েছিলো। পরে ইমরান আহমদ নিজ থেকে পিছিয়ে পড়েন। আর সম্মেলনের মাধ্যমে বাদ পড়েন শফিকুর রহমান চৌধুরী। দলের নেতারা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। তার সঙ্গে একজন কর্মীবান্ধব নেতা সিনিয়র সহ- সভাপতি হওয়া প্রয়োজন। এতে করে সবার আগেই আসে শফিক চৌধুরীর নাম। তারা জানান, গত ৫ই ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন সিলেট ছাড়ার প্রাক্কালে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে সিলেটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শফিক চৌধুরী যাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়ন পান সে বিষয়ে তিনি সিলেটের নেতাদের নির্দেশনাও দিয়ে যান। পাশাপাশি জাতীয় পরিষদ সদস্য রাখার ব্যাপারেও মত দেন। কিন্তু এই ক’মাসে বদলে গেছে অনেক কিছু। নতুন ফরম্যাটে আওয়ামী লীগে নতুন করে ভাবনা শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে শফিক চৌধুরীকে নিয়ে তার বিরোধীরা আরো সরব হয়েছে। তবে শফিকুর রহমান চৌধুরী এ নিয়ে পুরোপুরি নীরব। তিনি জেলা কমিটি গঠনের কোনো প্রক্রিয়ায়ই অংশগ্রহণ করছেন না। বরং পরিস্থিতি অবলোকন করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। যতদিন বেঁচে থাকবো দল করবো। নেত্রী যে কাজ দেবেন সেটি পালন করবো। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া যেকোনো দায়িত্ব তিনি পালনে প্রস্তুত বলে জানান।’