সুনামগঞ্জের খাল ভাঙনের কবলে ৫০ পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১:০০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি খাল ভাঙনের কবলে পড়েছে প্রায় ৫০টি পরিবার। ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া রসুলপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বড় খাল নামে একটি খাল রয়েছে। রৌয়ারখারা থেকে নলুয়ার হাওরে গিয়ে পড়েছে। এখানে প্রধান সড়কের সেতু থেকে পশ্চিম দিকের কালভার্ট পর্যন্ত খাল খুবই গভীর। এখনো হেমন্ত মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ ফুট পানি রয়েছে খালে।
খালের দুই পাড়ে রয়েছে অসংখ্য বসত বাড়ি। বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে প্রচন্ড গতিতে চলাচল করে পানি। এ সময় পানির স্রোতে বসত বাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে। প্রতি বছর কম-বেশি বাড়িঘর ভাঙছে। যদিও ভাঙন ঠেকাতে খালের মুখে থাকা সেতুর নিচ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। যাতে বর্ষায় নৌকা চলাচল করতে পারে না। তাতেও কাজ হচ্ছে না। অবিরাম চলছে ভাঙন।
ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পাকা বাড়ি, পাকা টয়লেট, বাড়ির পেছনের আঙ্গিনা সহ প্রায় ৫০ পরিবারের বাড়িঘর হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন থেকে বাড়ি রক্ষা করতে অনেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করলেও অনেকে তা পারছেন না। গত রবিবার সরজমিনে দেখা যায়, খালের ভাঙনের কবলে রয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। হুমকির মুখে আছে আরো অনেক স্থাপনা।
এ সময় গ্রামের স্পেন প্রবাসী হারুন রশীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত তোতা মিয়া সহ অনেকে বলেন, বিগত প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে খালে ভাঙন চলছে। ভাঙনের কবলে আছে আক্কাছ মিয়া, তোতা মিয়া, এলাইছ মিয়া, ফিরোজ আলী, খালিক মিয়া, শরীফ খান, আলতাব খান, রুমেন খান, নানু মিয়া, ওয়াবদা মিয়া, নুর মিয়া, ইলা মিয়া, মিঠু মিয়া, শহীদ মিয়া, কনর মিয়া সহ প্রায় ৫০টি পরিবার রয়েছেন। এর মধ্যে ধনীরা নিজ বাড়ি রক্ষায় প্রতি বছর ভাঙনে কাজ করলেও গরীবরা অসহায়। তাদের বাড়িঘর ভেঙেই চলেছে। তাই খালের এ ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহ স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, সরজমিনে তদন্ত করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।