বানিয়াচংয়ে নাম বদলে একই রাস্তায় বরাদ্দ চারবার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩২:৪১,অপরাহ্ন ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নে একটি গ্রামীন রাস্তায় চারবার নাম পরিবর্তন করে সরকারি বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। এরপর কাজ না করেই বরাদ্দের ২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. এরশাদ আলী। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
সূত্র জানায়, কাবিটা প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আনন্দ বাজার থেকে সরালিয়া হাটি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১ শত ৪৫ টাকা। কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে একই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে অর্থ বরাদ্দ নেয়া হয়। তখন আনন্দ বাজার উকিল মিয়ার দোকান থেকে চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কর্মসৃজন প্রকল্পে আনন্দ বাজার হতে সরালিয়া হাটির জামে মসজিদ হয়ে সরালিয়া হাটির পূর্ব মাথা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
একই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে চমকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরালিয়া হাটির জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃনির্মাণে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পের ৬১ হাজার ৯ শত ২৭ টাকা বরাদ্দ হয়। দুটি অর্থবছরে একই রাস্তার ৪ বার নাম পরিবর্তন ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আর সেসব বরাদ্দের মোট ২০ লাখ ৮১ হাজার ৭২ টাকা কৌশলে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে নানামুখী আলোচনা চলছিল দীর্ঘদিন। অবশেষে রবিবার বিকেলে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গ্রামবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বাগহাতা গ্রামের আব্দুর রহমান মিয়ার পুত্র আব্দুর রউফ।
অভিযোগ অস্বীকার করে বানিয়াচং ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এরশাদ আলী বলেন, ‘আমি বরাদ্দ পেয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাস্তার কাজ করিয়েছি। এক্ষেত্রে দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত হবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’