সুনামগঞ্জে অসহায় ময়েশা বিবির মুখে হাসি ফোটালেন ডিসি
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৫:২০,অপরাহ্ন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল শাল্লা উপজেলা। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন উপজেলাটির শাল্লা ইউনিয়নের চব্বিশায় গ্রামের ময়েশা বিবি। ৯৩ বছর বয়সী এই অসহায় মহিলা এসেছেন একটু সাহায্যের আশায়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদকে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধা এ মাকে ডেকে নেন অফিসে। বসতে বলেন এবং শোনেন এ মায়ের কষ্টের গল্প।
জানা গেছে, ময়েশা বিবির স্বামী খলিল মিয়া মারা গেছেন বহু আগে। শাল্লার প্রত্যন্ত গ্রাম চব্বিশায় অসহায় এক ছেলে সন্তান নিয়ে তার বসবাস। ছেলে পাথর ভাঙার কাছ করতে গিয়ে পরিবারের উপার্যনক্ষম সেই সদস্যও দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে বিছানায়। বয়স বেশি হওয়ায় নিজেরও কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই তার।
বসবাসের জন্য যে ঘরটি রয়েছে তারও ছাউনি নষ্ট হয়ে গেছে। রোদ-বৃষ্টিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিতান্তই কষ্টে দিন যাপন করছেন তিনি। বর্তমানে শীতের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র শীত থেকে বাঁচতে বসতঘরটি মেরামতের আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
পরে জেলা প্রশাসক সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নেন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। সেখানে তিনি জানতে পারেন বৃদ্ধা ময়েশা বিবি বয়স্ক ভাতা পান। কিন্তু জেলা প্রশাসক বুঝতে পারেন বয়স্ক ভাতায় বৃদ্ধা মায়ের সংসার আসলেই চলা দায়। তখন তিনি তাক্ষণিকভাবে পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে দেন এবং সেই সাথে কিছু শুকনো খাবার খাইয়ে দেন।
পরে জেলা প্রশাসক নিজের ব্যক্তিগত ত্রাণ ভান্ডার থেকে দেন শীতবস্ত্র। বসতঘরটি সংস্কারের জন্য ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের কাছে এত ভালোবাসা পেয়ে কষ্টের মধ্যে হাসি ফুটে উঠেছে ময়েশার বিবির মুখে। তিনি জেলা প্রশাসকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন এবং তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন বলেও জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি যখন জানতে পারি শাল্লা থেকে এক বৃদ্ধা মা আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন আমি সঙ্গে সঙ্গে উনার সাথে দেখা করি এবং শুকনা খাবার খেতে দেই। তিনি আমার কাছে উনার কষ্টের কথা জানিয়েছেন আমি তাকে আশ্বাস প্রদান করেছি আমি উনার বসতঘর মেরামত করে দেব। প্রশাসনের দরজা সবার জন্য খোলা, বর্তমান সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।