২৪ বছর পর ওসমানীনগরে বশির হত্যার রায়, দুই আসামীর যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪২:০৮,অপরাহ্ন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
সিলেটের ওসমানীনগর ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের বশির আহমদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২৪ বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার এ রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয়েছে। সিলেট জেলা দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোকসানা বেগম রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের অজিত কুমার শুক্লবৈদ্য (৫০) ও হবিগঞ্জ সদর থানার তেঘরিয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মুসলিম মিয়া (৪৮)। এদের মধ্যে মুসলিম পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৭ জুন রাতে অজিত শুক্লবৈদ্য তার ভাতিজা অসুস্থ থাকার বলে বশির আহমদকে তাদের বাড়ি বালাগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এসময় অজিতের সাথে থাকা মুসলিম মিয়া ও বশির মিয়া তিনজন নৌকা নিয়ে সোনাপুরের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হন।
কালাশাড়া হাওরে যাওয়ার পর নৌকার বৈঠা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বশির আহমদের মাথায় আঘাত করতে থাকে দুইজন। এসময় বশির আহমদের মৃত্যু নিশ্চিত করে কালাশাড়া হাওরে কচুরিপানা দিয়ে লাশ গুম করে চলে যায় দুই ঘাতক। এ খুনের ঘটনায় অজিত ও মুসলিমকে আটক করে পুলিশ। পরদিন তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে বশিরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বশির আহমদ ওসমানীনগর উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের মস্তফা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন নিহতের মামা বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজিত শুক্লবৈদ্য ও মুসলিম মিয়াক গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। পরে উচ্চ আদালত থেকে ২০০৭ সালে জামিন পান আসামীরা। জামিন পাওয়ার পর থেকে মুসলিম মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার রায়ে খুশি জানিয়ে বশির আহমদের ছোট ভাই হেলাল আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘ ২৪ বছর পর আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। এ কারণে তার পরিবার খুশি। তবে তারা পলাতক মুসলিম মিয়াকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন।’