সিলেট মহানগরে ডিজিটাল প্রকল্পে সনাতনী কাজ, ভোগান্তিতে নগরবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট মহানগরীতে উন্নয়নের নামে চলছে ভাঙ্গা গড়ার কাজ। অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজের কারণে যাতায়তে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানাসহ সর্বত্র দিনের বেলা চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এতে যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে সিলেট।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানাসহ সর্বত্র দিনের বেলা চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এতে যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে সিলেট। ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচে নেয়ার প্রক্রিয়া। অথচ কাজ চলছে সনাতন পদ্ধতিতে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চায় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এ কারণে একযোগে নগরীরর সর্বত্র চলছে কাজ। বিশেষ করে সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করায় সময় লাগছে বেশি। মানুষের দুর্ভোগও হচ্ছে সীমাহীন। সারাদিন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। খোঁড়াখুঁড়ির কাজ দিনে না করে রাতে করলেই ভাল বলে মনে করছেন নগরবাসী।
নগরীর জিন্দাবাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী সুমন কবিরের সাথে। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নগরীতে হাঁটা চলার কোন উপায় নেই। একদিকে চলছে সর্বত্র ভাঙ্গা গড়ার কাজ। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে মানুষের কষ্টের শেষ নেই। ব্যাংকার শহীদ আহমেদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে কাজ না হওয়ার কারণেই এমন দুর্ভোগ। কাজ চলছে ধীর গতিতে এবং সনাতন পদ্ধতিতে। ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করলে কাজ দ্রুত এগোত। এখন কাজ করার জন্য কত রকমের পদ্ধতি রয়েছে। সিসিক সেগুলো ব্যবহার করলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে। আমরা আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে কাজ শেষ করতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতের বেলা কাজ করতে সমস্যা হয়। প্রথমত যন্ত্রপাতি পাওয়া কষ্ট। দ্বিতীয়ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। তবুও আমরা চেষ্টা করবো রাতে এবং দ্রুত কাজ শেষ করার।