বিশ্বকাপ জয়ী সাকিবের বাড়িতে আনন্দ-উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪২:১৮,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য তানজিম হাসান সাকিবের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় আনন্দের বন্যা বইছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাটে-বলে অনবদ্য অবদান রেখেছেন সিলেটের বালাগঞ্জের ফাস্ট বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ফাইনালে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে ম্যাচের প্রথমেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম ৩ ওভারে একটি ওয়াইড ছাড়া কোনো রান দেননি এই যুবা টাইগার। এর ফলে ৩ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরার মুকুট পরল সাকিবের দল। তাই তো বালাগঞ্জে সাকিবের বাড়িতে বইছে আনন্দ-উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ।
বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিলকচাঁনপুর গ্রামের গৌছ আলী ও সেলিনা পারভীন দম্পতির ঘরে ২০০২ সালের ২০ অক্টোবর তানজিম হাসান সাকিবের জন্ম। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সাকিব তৃতীয়। সোমবার দিনব্যাপী সাকিবের গ্রামের বাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। উল্লসিত জনতা সাকিবের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে মিষ্টিমুখ করান। আবার সাকিবের বাবা-মাকেও এলাকাবাসীকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গেছে।
ভক্ত-সমর্থকদের সাকিব-সাকিব বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। মিছিলকারীরা বলেন, তানজিম হাসান সাকিবের কৃতিত্বের জন্য বালাগঞ্জসহ আজ সারাদেশের মানুষ বিজয়ানন্দ করছে।
বিশ্বকাপ জিতে নিজ বাড়িতে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তার সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সাকিবের মা-বাবা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে সাকিবের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। সাকিবের বাবা গৌছ আলী স্বপ্ন দেখেন- বিশ্বক্রিকেটে সাকিব যেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আর সাকিব অনেক দূর এগিয়ে যাক এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তার মা সেলিনা পারভীন।
পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসেবে সাকিবের প্রতি ভালোবাসার অন্ত নেই। সাকিবের বন্ধুরা বলেন, ক্রিকেটের প্রতি তার এতটাই আসক্তি ছিল যে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় কোথাও কোনো ম্যাচের খবর পেলে সে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে খেলায় চলে যেত।
সাকিবের চাচাতো ভাই বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মুনিম বলেন, তাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। আশা করি তার মাধ্যমে সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
সাকিবের বাবা গৌছ আলী বলেন, আমি প্রথমে চাইনি সাকিব ক্রিকেট খেলুক। আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিক। কিন্তু আজ আমার ছেলে দেশের বাইরে গিয়ে খেলেছে এবং বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। এটা আমার জন্য গর্বের। আমিও এখন চাই সাকিব বড় খেলোয়াড় হোক। দেশের মুখ আরও উজ্জ্বল করুক।
সাকিবের মা সেলিনা পারভিন বলেন, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সময় আমাকে জড়িয়ে বলেছিল- আম্মা আমাদের জন্য দোয়া করো। আমরা বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরতে চাই। আজ সাকিবের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।