চাঞ্চল্যকর তথ্য : ‘শুধু শাহজালাল সেতুই নয়, সিলেটের সব সেতুতেই বাঁশ’ !
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
শুধু শাহজালাল তৃতীয় সেতুই নয়, কুশিয়ারা নদীর ওপর শেরপুর সেতুসহ সুরমা নদীর ওপর অন্য সেতুগুলোতেও এভাবে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন সিলেটকে এমন তথ্য জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ‘শাহজালাল তৃতীয় সেতুতে লোহারবদলে বাঁশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সিলেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। শুরু হয় তোলপাড়।
এব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে এভাবেই সিলেটের সেতুগুলোতে বাঁশ ব্যবহৃত হওয়ার তথ্য জানান প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই গাড়ি চলাচলসহ নানা কারণে সেতুর লোহার পাত আলগা হয়ে যায়, কোনো কোনো সময় তা ভেঙেও যায়। এটি আবার লাগানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সে কারণে সেতুর ক্ষতি যাতে না হয় এবং মাঝারি ও ছোট যানবাহন চলাচলে যাতে সমস্যা না হয়, তাই দ্রুত ব্যবস্থা হিসেবে বাঁশের ব্যবহার করা হয়েছে।’
সওজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই গাড়ির কারণে সেতুর জয়েন্টের লোহার পাতগুলো অনেক সময় উঠে যায় অথবা ভেঙে যায়। তা ছাড়া লোহার পাত উঠে গেলে অনেক ক্ষেত্রে তা চুরিও হয়ে যায়। ফাটল যাতে বড় না হয় এবং ছোট যানবাহনগুলোর চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় এ জন্য এ কাজ করা হয়েছে।’
সিলেট মহানগরের উপকণ্ঠে সুরমা নদীর ওপর ‘শাহজালাল তৃতীয়’ সেতুর প্যানের জোড়ায় (এক্সপানশন জয়েন্ট) লোহার পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহার করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। বাঁশে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে তার ওপর বিটুমিন ও ছোট পাথর দিয়ে ভরাট করে দিয়েছেন সওজের শ্রমিকরা।
সেতু ঘুরে দেখা দেছে, সেতুর মাঝামাঝি তিনটি প্যানের জোড়ায় বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত দুই প্যানের মাঝখানের ফাঁকা অংশ লোহার পাত দিয়ে যুক্ত করা থাকে। অথচ এই সেতুর তিনটি প্যানের জোড়ায় লোহার পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। মাঝখানের ফাঁকা অংশে প্রথমে বাঁশ ফেলে ভরাট করে তার ওপরে বিটুমিন ও ছোট পাথরের মিশ্রণে ভরাট করা হয়েছে। হুট করে বিষয়টি চোখে না পড়লেও সেতুর অন্তত দুই জায়গায় বাঁশের অংশ বেরিয়ে থাকতে দেখা গেছে।