সিলেটে রাতে বেপরোয়া প্রাইভেট কার : প্রতিবাদ করায় হামলা, অস্ত্রের মহড়া!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪৩:০৬,অপরাহ্ন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
টিলার ভাজে গড়ে ওঠা নগরের রায়নগর মিতালি আবাসিক এলাকা। উঁচু-নীচু টিলার ভাজে গড়ে ওঠেছে বসতি। বাসা-বাড়ির পাশ ঘেষে আঁকা-বাঁকা পথ নেমে গেছে এদিক-ওদিক।
সরু পথগুলোর কয়েকটি রায়নগর রাজবাড়ি ও অপরপ্রান্তে টিভি গেইট এলাকার প্রধান সড়কে যুক্ত হয়েছে। এসব সরু পথ দিয়ে স্থানীয়রাও গাড়ি চালান সতর্কভাবে। কেননা, একটু দ্রুত চালালেই শঙ্কা থাকে দুর্ঘটনার।
তাছাড়া আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে এলাকার লোকজন মিলে সড়কের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসিয়েছেন সিসি ক্যামেরা। ফলে মানুষজন রাতেও চলাচল করতে নিরপদরোধ করেন।
অথচ গত রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা রাতে মিতালি আবাসিক এলাকার এসব সরু পথ দিয়ে একটি প্রাইভেট কার বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। এক পর্যায়ে বেপরোয়া চালানোয় কার চাপা থেকে অল্পের জন্য রক্ষাপান এক মোটরসাইকেল ও বাই সাইকেল আরোহী।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাইসাইকেল আরোহী দাঁড়িয়ে প্রাইভেট কারটি দিকে এগিয়ে যেতেই চারজন আরোহী বেরিয়ে আসেন। তারা বাইসাইকেল আরোহীকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন জড়ো হতে দেখে প্রাইভেট কার নিয়ে আরোহীরা চলে যান।
পরে রাত ৯টার দিকে আবারো ১৫/১৬ জন অস্ত্রধারী যুবক নিয়ে বাইসাইকেল আরোহীকে খুঁজতে মিতালী আবাসিক এলাকায় মহড়া দেন প্রাইভেট কারের আরোহীরা। তারা যাকেই সামনে পেয়েছেন, তাদের আঘাত করার চেষ্টা করে। এমনকি এলাকায় বেড়াতে আসা লোকজনও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি। সার্বিক বিষয় ধরা পড়ে এলাকায় ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরায়।
এলাকার সিসি ফুটেজে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, যুবকরা হাতে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মিতালি আবাসিক এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় তারা এক যুবককে কলার চেপে টানা হেঁচড়া করে ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে বখাটে যুবকরা স্থান ত্যাগ করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিতালী আবাসিক এলাকার লোকজন বলেন, বেপরোয়া কার চালানো যুবকরা মাদকসেবী ছিল। তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনলে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরণের দৃষ্টতা দেখানোর সাহস পাবে না।
মিতালী আবাসিক এলাকার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন বলেন, বহিরাগতরা এলাকায় মহড়া দেওয়ার ঘটনাটি পরে জানতে পেরেছি। অপরাধ করে আবার হামলা করতে আসা সত্যিই দু:খজনক এবং দৃষ্টতার দেখানোর সামিল।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি।