হবিগঞ্জে উত্তর লিখে প্রশ্ন সরবরাহ, কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষকের দণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১২:০৩,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সুরমা নিউজ:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নের মাঝে উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহের অপরাধে কেন্দ্র সচিবসহ ৩ শিক্ষককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে কেন্দ্র থেকে উত্তর লেখা ১১৭টি প্রশ্ন জব্দ করা হয়।
আজ রবিবার রাত ৯টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডিতরা হলেন পঞ্চাশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব নাছির উদ্দিন, ইংরেজি শিক্ষক দ্বিপন চন্দ্র পাল ও সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার ছিল ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষা। কেন্দ্র সচিব নাছির উদ্দিন নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনজন ইংরেজি শিক্ষককে সেখানে ডিউটি দেন। পঞ্চাশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই কেন্দ্রের পঞ্চাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। ডিউটি না থাকলেও কেন্দ্র সচিব ইংরেজি শিক্ষক দ্বিপন চন্দ্র পালকে খবর দিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। পরে সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন তার কাছে প্রশ্ন দিলে তিনি উত্তর লিখে দেন। পরবর্তীতে উত্তর লেখা প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীর কাছে প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা ও প্রতীক মন্ডল হলে গেলে বিষয়টি নজরে আসে। পরে তারা প্রশ্নগুলো জব্দ করেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সকল শিক্ষকদের তলব করে তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা এবং নকল সরবরাহে সহযোগিতা করার অপরাধে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ১২ ধারায় তিন শিক্ষককে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, তিন শিক্ষককে কারাদণ্ড প্রদান করার পর পঞ্চাশ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও অভিযুক্ত অপর দুই শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পত্র প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নকলের ব্যাপারে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। সরকারও এ ব্যাপারে কঠোর। শিক্ষকরা হলেন শিক্ষার বাতিঘর। বাতিঘরের আলো নিভে গেলে রাষ্ট্র কোথায় যাবে।