শ্রীমঙ্গলে কিশোরী ধর্ষণ ঘটনায় তিন ধর্ষক আটক

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক গৃহ কর্মী নাবালিকা কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বধ্যভূমি সংলগ্ন ভুরভুরিয়া চা বাগানের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ টমটম চালক ও চা বাগানের দুই পাহারাদার ধর্ষকসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার ভুরভুরিয়া চা বাগানের নারায়ন মালের ছেলে হরিমন মাল (৩৫),একই এলাকার সিতারাম মৃধার ছেলে মিন্টু মৃধা (২৯) ও সিন্দুর খান এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে টমটম চালক কবির মিয়া (৩২)।

জানা যায়, শহরের রুপসপুর চিড়িয়াখানা সড়কে সুরোজ মিয়ার বাসায় মেয়ের মা বিধবা হোসনে আরা বেগম ভাড়া নিয়ে থাকেন।তাদের আসল বাড়ী নোয়াখালী জেলায়। শ্রীমঙ্গলে মানুষের বাসায় তিনি গৃহকর্মী হয়ে কাজ করেন। তাঁর মেয়ে শহরের মিশন রোডের শাহ আলম পাটোয়ারীর মেয়ের স্বামীর বাসা দিনাজপুর জেলায় গৃহকর্মীর কাজ করে। দুই সপ্তাহ পূর্বে মেয়েটি শ্রীমঙ্গলে মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে মেয়েটিকে নিয়ে শাহ আলম পাটোয়ারীর বাসা থেকে পূর্ব পরিচিত প্রতিবেশী রিক্সা চালক কিশোর বয়সী ইয়াকুব মিয়া শহরের বধ্যভূমিতে ঘুরতে নিয়ে যায়। রাতে বধ্যভূমির পাশে ভুরভুরিয়া চা বাগানের রাস্তায় ঘুরাঘুরি করা অবস্থায় টমটম চালক তাদের দেখে গাড়ী থামায়। তারাও বাসায় ফেরার জন্য টমটমে উঠে। তখন টমটমের গতিরোধ করে ওই দুই পাহারাদার চা শ্রমিক এত রাতে এখানে কি করছ বলে তাদের পুলিশের ভয় দেখায়।এক পর্যায়ে টমটম চালক সহ ওই দুই চা শ্রমিক সাথে থাকা ইয়াকুব মিয়াকে হাত-পা বেঁধে রেখে মেয়েটিকে চা বাগানের ভিতরে টেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে রাত ১১ টায় সেখান থেকে ইয়াকুবের মা ইয়াকুব মিয়া ও অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের বাসায় নিয়ে যান। পরে মেয়ের মাকে খবর দিলে তিনি মেয়ের এ অবস্থা দেখে মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যান। পুলিশ মেয়েটিকে ডাক্তারি ও চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং অভিযান চালিয়ে দুই চা শ্রমিক ও টমটম চালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইন চার্জ আব্দুছ ছালেক টমটম চালকসহ দুইজন চা শ্রমিককে আটকের কথা জানান, আসামীরা সবাই ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ত রবিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।