সিলেটের ধলাই নদী দুইদিনে কেড়ে নিল ৬ প্রাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৯, ১২:০৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে পৃথক নৌকাডুবি ও স্রোতে ভেসে দুইদিনে ৬ জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রবি ও সোমবার কোম্পানীগঞ্জের বুকচিরে পাহাড়ী খরস্রোতা ধলাই নদীতে পৃথক নৌকাডুবি ও স্রোতে ভেসে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতের মধ্যে তিন শ্রমিক, দুই শিশু ও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন।
জানা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাটি অন্যতম আকর্ষণ সাদাপাথর নামক পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে এখানে ভিড় করেন শতশত পর্যটক।
গত ৭ জুলাই রোববার বন্ধুদের সাথে এই সাদাপাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিয়ারিংয়ের ছাত্র হাসানুর রহমান আবীর। বেলা ১টার দিকে আবীর ধলাইতে নেমেছিলেন সাঁতার কাটতে। হঠাৎ স্রোতের টানে ভেসে যান তিনি। নিখোঁজ আবীরের লাশ গত ৯ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাদাপাথর এলাকায় ধলাই নদীতে ভেসে ওঠে। স্থানীরা তা দেখে পুলিশকে খবর দিলে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ আবীরের লাশ উদ্ধার করে।
একই দিনে খরস্রোতা ধলাইতে পৃথক নৌকা ডুবির ঘটনায় আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জুলাই রোববার ভোরের দিকে রাজনগর এলাকায় বালুভর্তি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় নাঈম হোসেন ও জমির হোসেন নামক ২ বালু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর বলে জানা গেছে।এদিন সকাল ১১টার দিকে টুকেরবাজার এলাকায় ধলাইর বুকে একটি খেয়া নৌকা ডুবে যায়। এসময় দুই শিশু নিখোঁজ হয়। ডুবুরিরা চেষ্টা করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে গত ৮ জুলাই সোমবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার ও বাংকারের মাঝামাঝিতে মরা ধলাই নদীতে খালি বলগেট নৌকার ধাক্কায় বালু বোঝাই আরেকটি বলগেট নৌকা ডুবে যায়। এ সময় ৩ জন মাঝি লাফ দিয়ে নিরাপদে গেলেও ভিতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন একজন। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ নৌশ্রমিকের লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।