তাহিরপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার বালি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০১৯, ৭:১৫ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারী ভাবে নদী থেকে উত্তোলনকতৃ বালি দিয়ে ভরাটকৃত নীচু জায়গার বালি আবার বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ বালুখেকো চক্র। সরকারী ভাবে বিনা মূল্যে নীচু জায়গা,গর্ত ভরাট করার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া কোন জায়গায় ভরাট করছে না সরকারী ড্রেজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজুসহ তার সহযোগিরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বৌলাই নদীতে খনন কাজে নিয়োজিত সরকারী ড্রেজার। ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন করে কৌশলে বালুখেকু চক্ররা দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার দক্ষিণকুল, হোসেনপুর, সীমানা, মাহতাবপুর, পিরুজপুর গ্রামের নীচু ও খালি জায়গা বালি ভরাটে করেছে টাকার বিনিময়ে।
শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাহতাবপুর, দক্ষিণকুল, হোসেনপুর, সীমানা, মাহতাবপুর, পিরুজপুর গ্রামের বাড়ির আশে পাশের গর্ত ও খালি জায়গা গুলো সম্প্রতি সরকারী ড্রেজারে ভরাট করা হয়। মাহতাবপুর গ্রামের কবর স্থানের পাশে, সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল শহীদ ও সাইদুল ইসলামসহ আর কয়েক জনের বাড়ির গর্তগুলো ড্রেজারে ভরাট করে উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আজাদ ও উত্তম।
সেই ভরাটকৃত জায়গা থেকে কয়েক দিন ধরেই দিন-রাত নিজের ব্যক্তিগত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে স্টিলবডি ও বলগেইট নৌকায় বালি তুলে নিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করছে আজাদ ও উত্তম। ফলে ভরাটকৃত জায়গা আবার গর্তে পরিণত হচ্ছে। আর এভাবেই এই বালু খেখু চক্র অবৈধ ভাবে বালু বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান,গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের গর্ত স্থান সরকার ভরাট করে দিলেও সেই গর্তের বালি বিক্রি করছে প্রভাবশালী দুই ভাই মিলে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার মত সাহস পায় না কেউ। এছাড়াও রয়েছে তাদের একটি শক্তিশালী গ্রুপ।
ওই জায়গার মালিকদের মধ্যে একজনকে কিছু টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে আশ্বাস দেয় অন্যদিকের জায়গা ভরাট করে দিবে। কিন্তু কবে দিবে কি ভাবে দিবে বুঝতে পারছে না। কিছু বলার সাহস ও পাচ্ছে না। আর অন্য দুই পরিবার সুনামগঞ্জ চলে যাওয়ায় ভরাটকৃত জায়গা থেকে বালি বিক্রি করছে তা জানতে পারে নি। জানারপর তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম ও আজাদ জানান, আমি আমার জায়গায় সরকারী বালি ড্রেজারে স্টকে রাখছি প্রশাসনের লোকও জানে। টাকা দিয়ে মাল(বালু) কিনেছি। স্টক রাখছি এমন করে রেখে বিক্রি করার অধিকার আমার রয়েছে।
নদী সরকারী ড্রেজার কাজে নিয়োজিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজু বালু বিক্রির বিষয়ে বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আসিফ ইমতিয়াজের সরকারী মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।