রাজনগরে ধান সংগ্রহ করতে কৃষি কর্মকর্তার মাইকিং
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুলাই ২০১৯, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের রাজনগরে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে মাইকিং করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ধান ক্রয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনিয়মের খবর প্রচারের পর সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার জন্য এমন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় থেকে শনিবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মাইকিং করে কৃষকদের কার্ড জমা দিতে বলা হয়। রবিবার সকাল থেকে ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে কৃষিকার্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন উপজেলা অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালার আলোকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন থেকে মোট ৫৮৪ মেট্রিক টন বোরো ধান সংগ্রহের জন্য প্রান্তিক কৃষক ও মহিলা কৃষকদের অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই লক্ষ্যে কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ড সংগ্রহের জন্য মাইকিং করা হয়েছে। যাদের নিজস্ব জমি আছে এমন কৃষকদের কার্ড যাচাই-বাছাই করে কার্ডের ফটোকপিতে জমির পরিমাণ বিবেচনা করে বিক্রয়যোগ্য ধানের পরিমাণ উল্ল্যেখ করে দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এসব ফটোকপি ৮টি ইউনিয়নের কৃষকদের জন্য স্থাপিত আলাদা আলাদা অস্থায়ী বাক্সে (ড্রাম) ফেলছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবে কার্ড সংগ্রহ চলবে। পরে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মুখে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। নির্বাচিতদের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস, কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা খাদ্য গুদামের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে। অধিক সংখ্যক কৃষককে সুযোগ দেয়ার জন্য এবার একজন কৃষক ১২০ কেজি থেকে শুরু করে ১ মেট্রিক টন পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন।
কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের কৃষক মো. গৌছ মিয়া বলেন, আগেরবার ধান বিক্রয়ের খবর জানতে পারি নি। এবার মাইকিং শুনে কার্ড জমা দিতে এসেছি। যেভাবে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে তাতে আশা করি ধান বিক্রয়ের সুযোগ পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী আগ্রহী কৃষকদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। কৃষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার প্রান্তিক কৃষক ও মহিলা কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এবার লটারীর মাধ্যমে কৃষক বাছাই করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আবারো ধান সংগ্রহ করছে। আগেরবার ধান ক্রয়ে কিছু ত্রুটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় স্বচ্ছতার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে ইতোমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। স্বচ্ছতার জন্য এবার লটারীর মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের যোগ্য কৃষক নির্বাচন করা হচ্ছে।