সিলেটে ২২৬ কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোরা, ভোগান্তিতে জনগণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০১৯, ১:২৬ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেট উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। কোথাও কোথাও সংস্কারের অভাবে বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে রাস্তাগুলো, ঘটছে দুর্ঘটনাও। সংস্কারের নামে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। ভোগান্তি বাড়ছে জনগণের।
এ দিকে রাস্তাঘাটের বেহাল দশার প্রভাব পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্থনীতিতে। পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকের সমাগম আশানুরূপ হচ্ছে না। সারা বছরই রাস্তা মেরামতের নামে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বর্ষা মৌসুমে উদাসীনতার কারণে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে অনেকের ধারণা।
সিলেট জেলায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কের ২২৬ কিলোমিটার রাস্তা ভাঙাচোরা। মহাসড়ক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (এইচডিএম) বিভাগের বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিলেট-জকিগঞ্জ রাস্তাটি ক্রমেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কারণে অনেক গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। এই রাস্তা দিয়ে জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, বড়লেখায় প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। চারখাই থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা কিছুটা মেরামত করা হলেও চারখাই থেকে সিলেট পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা চোখে পড়ার মতো।
চারখাই এলাকার রায়হান উদ্দিন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি হচ্ছে সিলেট-জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার রাস্তা মেরামত। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল কমে গেছে। এই রাস্তা মেরামতের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালিত হয়েছে। শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেছে।
বিয়ানীবাজারের এনজিও কর্মী হেলাল আহমদ বলেন, উপজেলার রাস্তাঘাটের চিত্র করুণ। এ সব রাস্তা দিয়ে যান চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। কোথাও কোথাও ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার লোকজনের উদ্যোগে রাস্তায় মাটি ফেলে মেরামত করে রাস্তা ব্যবহারের উপযোগী করা হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওড় হাকালুকি ভ্রমণের জন্য এই রাস্তা দিয়ে গিয়ে গিলাছড়ার জিরো পয়েন্ট বাজারে যেতে হয়। কিন্তু গিলাছড়ার প্রধান সড়কটি স্থানে স্থানে গর্ত। কোথাও কোথাও রাস্তার গর্ত এতো বড় যে গাড়ির চাকা আটকে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ নেতা শামসুল ইসলাম হেলন বলেন, উপজেলার সর্বত্র রাস্তাঘাট ভাঙা। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে মেরামত হয় না। ঠিকাদাররা রাস্তা খোঁড়ে বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজ না করে ফেলে রাখে। এতে জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়।
মোগলাবাজার ইউপির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শাইস্তা বলেন, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রাস্তা কিছুদিন বন্ধ থাকায় মোগলাবাজার ফেঞ্চুগঞ্জ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করে। এতে রাস্তার স্থানে স্থানে ভেঙে গেছে। পুনরায় মেরামত না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে চলাচলের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহিদ বলেন, সুলতানপুর, মোগরাবাজার, পাহাড়লাইন, গোটাটিকরসহ উপজেলার সার্বিক রাস্তাঘাটের চিত্র বেহাল। স্থানীয় এমপি মহোদয়ের কাছে বারবার বলার পরও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।