তাহিরপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০১৯, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীকে নকল করতে বাধা দেয়ায় পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষককে পেটানো মামলার আসামী তোফাজ্জলকে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে টানা তৃতীয় দিনের মত বাদাঘাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার পর মামলা দায়ের করা হলেও তোফাজ্জলসহ তার সহযোগিরা অদৃশ্য ইশারায় থানা পুলিশের নিকট অধরাই রয়ে গেছে।
বুকে কালোব্যাজ ধারণ করে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিলটি হাসপাতাল, পুলিশ ফাঁড়ি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট, কলেজরোড প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয়ে গিয়ে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের আহবানে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, আফম মুস্তাকিম আলী পীর, মুক্তার হোসেন, শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম শিকদার, মইনুল হক, লোকমান আহমদ, লোকমান হোসেন, অনির্বাণ হাওলাদার, স্বস্থি রঞ্জন সরকার, আরপিনা আক্তার, নুরেসাবা আক্তার, আহত শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম, অফিস সহকারি কাজি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নকলে বাধা দেন বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক। তারপর ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীকে হলে উত্যক্ত করছিল। এ সময় বাধ্য হয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন ওই সহকারি শিক্ষক।
এদিকে বাসায় গিয়ে ওই শিক্ষার্থী তাকে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা জানানোর পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু তাহের তার নাতিকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষককে শিক্ষার্থী, অন্য শিক্ষক, কর্মচারীদের সামনে অশ্লীল গালিগালাজ করেন।
পরবর্তীতে আবু তাহেরের ছেলে তোফাজ্জল তার সহযোগিদের নিয়ে ফের বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষক মাজেদুল ইসলামকে মারধর করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনার পরপরই আহত সহকারি শিক্ষককে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন আবু তাহের, তোফাজ্জল সহ আট জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।