পর্তুগালের নাগরিকত্ব আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০১৯, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
গত পাঁচ বছরের মধ্যে পর্তুগিজ নাগরিকত্ব আবেদনের প্রবণতা সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌছেছে ২০১৮ সালে। ২০১৭ সালের তুলনায় ১৬৫% আবেদনের হার বেড়েছে বাংলাদেশী আবেদনকারীদের।
বর্তমানে ৫৩২৫ জন বাংলাদেশী পর্তুগিজ নাগরিক রয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে পর্তুগাল বর্ডার কন্ট্রোল এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (এস ই এফ).
সংস্থারটির ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ইমিগ্রেশন বর্ডার এন্ড এসাইলাম রিপোর্ট ২০১৮ অনুযায়ী পর্তুগালের অভিবাসীদের ৩৩.৭% ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের নাগরিক।
যদিও ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলের মানুষ পর্তুগীজ নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন, প্রায় ২৮২১০ জন। পক্ষান্তরে ইটালির ৬৯৮৯ জন, ফ্রান্সের ৫৩০৬ জন, বৃটিশ ৫০৭৯ জন এবং বাংলাদেশের ৫৩২৫ জন যা ২০১৭ সালের চেয়ে ১৬৫% বেশী।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, নেপালের ১১৪৮৯ জন যা গত বছরের চেয়ে ১৪১ ভাগ বেশী, ইন্ডিয়ার ১১৩৯৩ জন, যা ১২৭ ভাগ বেশী গত বছরের চেয়ে এবং ভেনিজুয়েলার ৪৭৪০ জন যার বৃদ্ধির হার ৮৩ ভাগ।
২০১৮ সালে ৯৩ হাজারের বেশী অভিবাসী পর্তুগালে বৈধ কাগজপত্র পেয়েছেন যা ২০১৭ সালের থেকে ৫১.৭ ভাগ বেশী। পর্তুগাল বর্ডার কন্ট্রোল এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (এ ই এফ) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী নতুন বৈধ হওয়া অভিবাসীদের বেশীর ভাগই হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিক।
রিপোর্ট অনুযায়ী পারিবারিক পূর্ণ মিলনী ভিসা, প্রফেশনাল ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসার হার ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এসময় গোল্ডেন রেসিডেন্ট পারমিট ভিসা অনুমোদন করা হয় ১৪০৯ টি এবং তাদের পরিবারের জন্য আরো ২৫০০ ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
পর্তুগাল বর্ডার কন্ট্রোল এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস এর রিপোর্টে দেখা যার গত বছর ৮৪৮ মিলিয়ন ইউরো গোল্ডেন রেসিডেন্ট পারমিট ভিসায় আওতায় বিনিয়োগ হয়েছে পর্তুগালে যার মধ্যে ৭৬২ মিলিয়ন ইউরো সরাসরি ১৩৩২ টি আবাসন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়েছে।