সুনামগঞ্জে পানিবন্দি হাজারো মানুষ, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০১৯, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
তাহিরপুর সংবাদদাতা :
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ফলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার খরস্রোতা যাদুকাটাসহ বিভিন্ন নদীর প্রবাহিত স্রোতধারায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৫০ গ্রামের মানুষ ।
গত ২৪ ঘন্টায় ৪১৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত যাদুকাটা ও সুরমা নদী সহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উপজেলার বাগলী থেকে চানঁপুর ও তাহিরপুর সদর থেকে সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে তাহিরপুরের বৌলাই নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোজ রয়েছেন রোজিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহিণী। নিখোঁজ রোজিনা উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণকুল গ্রামের শ্রমজীবী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী।
আনোয়ারপুর ব্রীজের এপ্রোচের পূর্বাংশের রাস্তাটি পানির স্রোতে কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শনিবার পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার সংবাদ পাওয়া গেছে।কয়েকদ টানা বৃষ্টিও যাদুকাটা নদীতে পানি বৃদ্বির ফলে বালুপাথর উত্তোলন কারী প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে ।
অপরদিকে উপজেলার চাঁনপুর, বড়ছড়া, লাকমা, চারাগাঁও, কলাগাঁও, লামাকাটা ও বাগলীছড়া দিয়ে উজান থেকে পাহাড়ী ঢল এসে ছড়ার তীরবর্তী শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। উপজেলার ৩০টিরও বেশী সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষা পানি প্রবেশ করায় পাঠাদান বন্ধ রয়েছে ।
জানা গেছে, পাহাড়ী ঢলে পানি বৃদ্বির ফলে উপজেলার রাজধরপুর, রামজীবনপুর, সাহেব নগর, পৈন্ডুপ, গোপালপুর, মারালা, নোয়ানগর, নোয়াগাঁও, ইক্রামপুর, জগদীশপুর, সাহসপুর, সুলেমানপুর, উমেদপুর, আনন্দনগর, পাটাবুকা, ভবানীপুর, দুমাল, লামাগাঁও, বিনোদপুর, ইন্দ্রপুর, পানিয়াখালী, জয়পুর, গোলাবাড়ী, ছিলানি তাহিরপুর, ভোরারঘাট, কামালপুর, জামালপুর, মাটিয়ান, তরং, নয়াবন্ধ, বালিয়াঘাট, দুধের আইউটা, জামলাবাজ, টাকাটুকিয়া, রসুলপুর, কাউকান্দি, কামারকান্দি, ধরুন্দ, কাঞ্চনপুর, ইউনূছপুর পাতারগাঁও, মাহতাবপুর, বড়দল সহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া উপজেলার উজান এলাকার আমন ধানের প্রায় দু’শ একর জমির বীজতলা ও শাকসব্জির ক্ষেত পানিতে ডোবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।তাহিরপুর উপজেলা দূর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে পানি এসে নিম্নাঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে সীমান্ত রাস্তা বঢ়ছড়া হতে বিরেন্দ্র নগর পর্যন্ত স্থালপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বণ্যা পরিস্থিাতি মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুমখোলা হয়েছেএবং উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্মকর্তা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন। এছাড়া বণ্যা পরিস্থিাতি মোকাবেলায় ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছেপানি বিশুদ্ব করন টেবলেট,শুকনা খাবার ,খাবার স্যালাইন, টিআর এর চাল মৌজুদ রাখা হয়েছে। তিনি বণ্যায় ক্ষতি গ্রস্থা কৃষকদেও ক্ষতির পরিমান নিরোপন কওে সরকারী ভাবে ক্ষতি সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন।