শ্রীমঙ্গলে ব্রয়লারের চেয়ে দেশী মুরগির চাহিদাটা’ই বেশী
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০১৯, ২:২৭ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল:
দেশী জাতের মুরগির দিকে লোভটা সবারই থাকে। আজকাল ব্রয়লার বা পোল্ট্রি মুরগি ছাড়া দেশী মুরগি তেমন একটা পাওয়া যায় না। এক সময় গ্রামাঞ্চলে গৃহীনিরা এক ঝাঁক মুরগি পালন করতো। কিন্তু আধুনিকতার ছুয়াঁয় সবাই এখন আধুনিকতা নিয়ে ব্যাস্ত। তবুও কিছুটা গ্রাম্য এলকায় তারা দেশী জাতের মুরগি পালন করে থাকেন। তাও খুব কম সংখ্যক।
বর্তমান বাজারে পোল্ট্রির মুরগির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলে গৃহীনিদের পালিত দেশী জাতের মুরগি। এসব মুড়গি কিনছেন মধ্যবৃত্ত ও বৃত্তবান লোকেরা।
এমনি চিত্ত দেখা যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের ষ্টেশন রোডের পাশে কয়েকজন লোক দেশী জাতের মুরগি সামনে সাজিয়ে বসে রয়েছেন। তারা জানায় এসব মুরগি গ্রাম থেকে আনা হয়েছে। কেউ কেউ বাড়িতে পালন করা মুরগি নিয়ে এসেছেন বিক্রি করার জন্য। তারা বলেন ঈদকে সামনে রেখে ঈদের কেনা কাটা সাড়তে এসব মুরগি বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছন শহরে।
মুরগি বিক্রেতা মো: আলতাব হোসেন বলেন উপজেলার উত্তর উত্তরসুর এলাকা থেকে ৮/১০ টি দেশী মুড়গি নিয়ে এসেছেন শহরে বিক্রি করার জন্য। তিনি জানান কেজিতে নিলে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা আর ১টি মুরগি প্রতি নিলে ৩০০-৪০০ টাকা তবে মুরগির জাত ও সামান্য ওজনের ধারনার উপড় ভিত্তি কওে দাম কম বেশী হতে পারে।
বিক্রেতা জোনায়েদ জানান লালবাগ এলাকা থেকে ৩ জাতের দেশী মুরগি নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। কক মুরগি, সোনালী ও হাইব্রিড জাতের মুরগি। এসব মুরগি ২২০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
দেশী জাতের মুরগি কিনতে আসা সোয়াইব আহমেদ জানান পোল্ট্রি মুরগির চেয়ে দেশী জাতের মুরগি খেতে অনেক স্বাদ। তবে দেশী জাতের মুরগি খুব কম পাওয়া যায়। তিনি ২টি মুরগি ৪৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
অন্য আরেক মুরগি ক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান ব্রয়লার মুরগি খেলে তাতে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ডাক্তার অনেক সময় নিষেধ কওে থাকেন ব্রয়লার মুরগি না খাওয়ার জন্য। তাই আমি দেশী জাতের মুরগি কিনতে এসেছি।
ফার্মের মুরগি আকারে বড়। খুব বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারে না। আলসে-টাইপ। দলবলসহ থাকলেও একে অন্যকে চেনে না প্রায়। কারও সঙ্গেই তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। আপনারে নিয়া ব্যস্ত থাকিতে এসেছেন তারা অবনী ’পরে।
বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী।