শ্রীমঙ্গলে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০১৯, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটির জেরে আখাড়উাগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিন চন্দনা রাণী দাশ (২৭) নামের দুই সন্তানের জননী। ট্রেনের চাকায় তার পুরো ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙ্গুল হারিয়েছেন।
চন্দনা শ্রীমঙ্গল শহরতলীর সবুজবাগ আবাসিক এলাকার কাতার প্রবাসী রনি দাশের স্ত্রী। বর্তমানে চন্দনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশন প্লাটফর্মের উত্তর পাশ থেকে আখাড়উাগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন চন্দনা। এ সময় তার ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙ্গুল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথা ও শরীর দুই লাইনের মধ্যে পরায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
তিনি বলেন, ঘটনাটি থানা ক্যাম্পাসের অদূরে হওয়ায় আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গলে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠাই। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ওসি বলেন, আমরা জেনেছি বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সকালে ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই রনি দাশের স্ত্রী রেললাইনে এসে ঝাঁপ দিতে যায়। চন্দনা দুই সন্তানের জননী। তার এক মেয়ে সাড়ে আট বছরের। আরেক ছেলে ৪ বছরের। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও আমরা ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়রী করে রেখেছি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্ত্রীর সাথে অবস্থারত কাতার প্রবাসী স্বামী রনি দাশ মুঠোফোনে বলেন, আমার স্ত্রী বাবার বাড়ী শায়েস্তাগঞ্জে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে ফ্যামেলীগতভাবে আমরা দুইজনের মধ্যে ঘটনারদিন সকালে একটু কথাবার্তা ও রাগারাগি হয়। এইরকম ঘটনা ঘটাবে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। কারণ আমাদের ১০-১২ বছর ধরে সংসারজীবনে এমন কোন ঝগড়াঝাটি হয়নি।