সিলেটে মসজিদের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা !
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের শাহপরানের বাইপাস এলাকায় মসজিদের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেছেন জায়গার মালিক বিয়ানীবাজার উপজেলার মুল্লাপুর গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র ও নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফারুক আহমদ (মামলা নং ৬৯/১৯)। মামলায় আসামীরা হলেন, শাহপরান থানার প্রত্যাশা টাওয়ার এলাকার মৃত ফজলু মিয়ার পুত্র মুজিবুর রহমান (৪০), একই থানার প্যারাগন টাওয়ার এলাকার মানিক মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (৩০), জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট গ্রামের জিল্লুর রহমানের পুত্র নোমান আহমদ, একই উপজেলার টেংরা গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র লোকমান আহমদ (২৮) ও খলিলুর রহমানের স্ত্রী কুতুবুন্নেছাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জন। এরমধ্যে লোকমান আহমদ ও আলম নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
অভিযোগে ডা. ফারুক আহমদ উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৪ সালে শাহপরান বাইপাস এলাকায় বহর মৌজায় (দাগ নং ৪৫৬৫/৮) ৬০ শতক জায়গা ক্রয় করে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন। ২০১৮ সালে একটি পাকা ঘর ও একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেন। ইদানিং আসামী মুজিবুর রহমান, জসিম উদ্দিনের ও তাদের সহযোগী কতিপয় সন্ত্রাসীরা তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জমি ভোগ দখল না করারও হুমকি দেয় তারা। হুমকি দেয়ার পর তিনি থানায় সাধারণ ডায়রী করেন (ডায়রী নং ৭৯৯ তারিখ-২০ মার্চ২০১৯)। পরে স্থানীয়রা আপোষের পস্তাব দিলে ফারুক আহমদ সরল মনে রাজী হন। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আসামী গংরা অস্ত্র নিয়ে ওই জায়গার বাউন্ডারী ও ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং তার নামের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে নতুন সাইনবোর্ড লাগায়। ঘরের তালা ভেঙ্গে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তিনি বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তান্ডব সৃষ্টি করে। ফের তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, না দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। পরে তিনি শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া এখন আসামীরা এই ঘরটিকে মসজিদ বানানোর নাম করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে এলাকার মানুষের কাছে ধর্মীয় সহানুভূতি সৃষ্টি করে ভূমি দখলের পায়তারা করতেছে। জানা গেছে, উল্লেখ জায়গাটি ডা. ফারুক আহমদ ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর রায়নগর রাজবাড়ী এলাকার মৃত রফিক আহমদের পুত্র মুজিবুর রহমানের নিকট হতে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী ডা. ফারুক আহমদ বলেন, সম্পূর্ণ প্রমাণপত্র আছে তার কাছে। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে মুজিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার এসআই অর্জুন বলেন, মামলার তদন্ত চলতেছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।