মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতালের সহায়তায় দৃষ্টি ফিরে পেল তিন ভাই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :
তিন ছেলে মা-বাবা মিলে পাঁচজনের সংসারে অভাব এক দিনের জন্যও পিছু ছাড়েনি। মৌলভীবাজার জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি) চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় তিন ছেলে পূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে-এমন তথ্য জানালেন শিশু তিনটির মা শাবানা। বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) মৌলভীবাজার শহর থেকে ২ কি.মি. দূরে শমসেরনগর রোডস্থ মাতারকাপন এলাকার (বিএনএসবি) চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগিকোনা গ্রামের বাসিন্দা আছকির মিয়ার ছেলে আনিক(৯),আরিফ(১০)ও রয়েল (৩) জন্মগত ভাবেই তারা অন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে বিএনএসবি মৌলভীবাজারের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ মৌলভীবাজার জানান, তারা তিন ভাই জন্ম থেকেই অন্ধ ছিল আমাদের এই হাসপাতালে আসার পর তাদেরকে ফ্রি অপারেশন করা হয়। প্রায় ২১ দিনের মধ্যে তারা দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে।
উল্লেখ্য মৌলভীবাজার জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি) চক্ষু হাসপাতাল প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ “প্রতিবন্ধিতা উত্তরণ সম্মাননা-২০১৮-এ ভূষিত হয়েছে । গত ৩ ডিসেম্বর ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করা হয়।
১৯৮৬ সালে মৌলভীবাজার শহর থেকে ২ কি.মি. দূরে শমসেরনগর রোডস্থ মাতারকাপন নামক স্থানে ২৫ বেডের বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে ৭ টি সাধারণ কেবিন, ১১টি এসি কেবিন, ৩১টি সাধারণ, শিশুদের জন্য একটি শিশু ওয়ার্ড এবং ক্যাম্পে আগত রোগীদের জন্য একটি ক্যাম্প ওয়ার্ড নিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগের ১ কোটি ২০ লক্ষেরও অধিক মানুষের চোখের চিকিৎসার জন্য একমাত্র সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোন বিশেষায়িত হাসপাতাল না থাকায় এই অঞ্চলের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সব সময় চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী হতে হত। এই অবস্থা হতে উত্তোরণ এবং বৃহৎ জনগোষ্টীকে অন্ধত্বের অভিশাপ হতে রক্ষা করার লক্ষ্যে মৌলভীবাজারে কিছু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানবপ্রেমী ব্যাক্তিবর্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে।