ছাতকে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ৯:২১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
ছাতকে রূপা রানী দাস(১৭) নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে শহরের হাসপাতাল রোডস্থ একটি ভাড়া বাসা তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রূপা রানী দাস রাসেন্দ্র দাস ওরফে রাসেল চৌধুরীর মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, পিতা-মাতা ধর্মান্তরিত হওয়ায় রূপা রানী দাস তার কাকা রিপন দাসের হাসপাতাল রোডের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন। একই এলাকার মৃত চমক আলীর পুত্র পাবেল মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। বিষয়টি রূপার পরিবারের লোকজন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি রূপার বিয়ের ব্যাপারে পারিবারিকভাবে আলোচনাও চলছিল।
রোববার বর পক্ষে লোকজন এসে রূপা বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য করার কথা ছিল বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। সকালে রূপাকে বাথরুমের সাওয়ারের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। ছাতক থানার এসআই দিলোয়ার ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। এসময় রূপার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
রূপার পা ভুমির সাথে হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় ছিল এবং শরীরের কাপড়চোপড়ও ছিল অনেকটাই পরিপাটি। বিষয়টিকে অনেকেই পরিকল্পিতি হত্যা বলে মনে করছেন।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর মিলনরানী দাসসহ লোকজনের উপস্থিতিতে লাশ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রূপা পরিবারের লোকজন জানান, রূপার মৃত্যুর সংবাদে পাবেল গা ঢাকা দিয়েছে। রূপার মৃত্যুর জন্য প্রেমিক পাবেলই দায়ী। পাবেলের মানষিক নির্যাতনের জন্যই রূপা আত্মহত্যা করেছে বলে তারা মনে করেন।
ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, ময়না তদন্ত ছাড়া কোনকিছুই বলা যাচ্ছে না।