সিলেটে ইজতেমা বন্ধে প্রশাসন বরাবরে স্মারকলিপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ৯:০১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বদিকোনায় ‘সাদপন্থীদের’ ইজতেমা বন্ধের দাবিতে ওলামায়ে কেরামদের উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার সিলেট জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলাম ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার কাছে পৃথকভাবে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- দরগাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিবুল হক গাছবাড়ি, ভার্থখলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, বন্দরবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওলিউর রহমান, খতিব মাওলানা মোস্তাক খান, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেটের সভাপতি হাবিব আহমদ শিহাব, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট তাবলীগ জামাতের উপদেষ্টা তৈয়বুর রহমান, নয়াসড়ক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম, পাঠানটুলা জামে মসজিদের ইমাম-খতিব ও জালালাবাদ ইমাম সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হুসাইন আহমদ, নয়াসড়ক মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা শাহিরুজ্জামান, ঝেরঝেরিপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা হারুনুর রশীদ, ভার্থখলা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ। স্মালিকলিপিতে উলামায়ে কেরামগণ উল্লেখ করেন, ‘‘ভারত উপমহাদেশে সূচীত ও দারুল উলুম দেওবন্দের শীর্ষ ওলামাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দ্বীন ইসলামের দাওয়াতী কাফেলা ‘তাবলীগ’ এর মাধ্যমে এর সদস্যরা পুরো বিশ্বব্যাপী তাবলীগের মেহনত করে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে বালাদেশেও এ নিয়মেই কাফেলার কাজ চলে আসছে। কিন্তু বিগত ৪-৫ বছর থেকে কিছু বিপদগামী লোক মুসলমানদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে এই কাজের কর্তৃত্ব নিজ আয়ত্বে নেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দাওয়াতী কাফেলায় ভাঙন ও দলীয়করণ সৃষ্টি হয়েছে। আর এরই ফলশ্র“তিতে বাংলাদেশের তাবলীগী মারকায কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গি ইজতেমা মাঠে রক্তপাত এবং প্রাণহাণীর মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। যা খুবই দুঃখজনক। আমাদের সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বদিকোনায় ঐ সকল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল জেলা ইজতেমা আহ্বান করেছে। আমার সিলেটের উক্ত ইজমেতায় বিশৃঙ্খলার আশংকা করছি।’’
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিলেট হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-সহ আলীম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের আবাসভূমি। এই ভূমিকে শান্ত রাখতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাদপন্থীদের কথিত ইজতেমা বন্ধ করতে হবে।’