জিন্দাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোটি টাকার ভূমি দখল করলেন আ’লীগ নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ৬:১৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটের জিন্দাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা গলিতে দিন দুপুরে একটি ইউনার প্রেসের নামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবনের কোটি টাকা মূল্যের একটি দোকান কোটা দখল করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার লোকজন সীলগালা করে রাখা দোকান কোঠাটির দখল নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ডের নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গায় অবস্থিত দোকান কোটা জবর দখল করার ঘটনায় সিলেটজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৩ শতকের উপরে থাকা পুরোনো ভবনের পেছনের অংশের দোকান কোঠাটি জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে প্রভাবশালীরা একাধিকবার কেনা-বেচা করেন। ২০১৮ সালে দুই শতকের উপরে থাকা দোকানকোটা উদ্ধার করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সীলগালা করে রাখে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এতোদিন দোকান কোঠাটি বন্ধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহীদ নূর হোসেন ব্লকের নামীয় ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সীলগালা করা ভবনটি দখলে নেয়। তারা দরজার তালা ভেঙে ওই ভবনের সামনে বিসিবি‘র পরিচালক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলের মালিকানা ইউনার প্রেসের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। দখলের ঘটনাটি জানতে পেরে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঘটনাস্থলে যান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ। তারা বিষয়টি নিয়ে এদিন দুপুরে তা’ক্ষনিক বৈঠকে বসেন। এবিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ডের সভাপতি সব্রত চক্রবর্তী জুয়েল জানান, একিউজিশনে ভবনটি ১৯৭৫-৭৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখানে একই ছাদের নীচে মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিল জেলা, সদর ও দক্ষিণ সুরমা অফিস অবস্থিত। আগে মহানগর কমাণ্ডও এই ভবনে ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম নাদেল ক্যাডারদের দিয়ে ভবনের দখল নিয়ে প্রেসের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। একটি স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমাণ্ডের অফিস দখল হয়ে গেলে বাকি থাকে কি? প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ বিষয়ে শফিউল আলম নাদেল‘র সঙ্গে বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তার সহকারী মোবাইল রিসিভ করে বলেন, নাদেল সাহেব তার দোকান উদ্বোধন ও মিলাদ মাহফিল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।