সিলেটে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় ফুটবল খেলায় সৃষ্ট বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এসময় কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সাও ভাংচুর করা হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী মুখাবিল ও বড়দেশ গ্রামের ফুটবল দলের পক্ষ নিয়ে এ দু’গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খেলার মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও সন্ধ্যা পরে কানাইঘাট-গাছবাড়ী-সিলেট সড়কে চলাচলরত যানবাহন আটকে এক পক্ষ আরেক পক্ষের সমর্থকদের মারধরও করে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল লক্ষীপুর মাঠে বর্ণালী সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বিকেল ৪টায় মুমিন এন্টারপ্রাইজ ঝিঙ্গাবাড়ী মুখাবিলা হয় ৭নং দক্ষিন বানীগ্রাম ইউনিয়ন বড়দেশ ফুটবল দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় বড়দেশ ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড় প্যানাল্টি বক্সের ভিতরে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে অবৈধ ভাবে বাধা দিলে রেফারি ফ্রি ক্রীকের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বড়দেশ দলের সমর্থকরা মাঠের বাহিরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে তাদের দলকে না খেলে মাঠে বসার জন্য আহ্বান করেন। খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে কিছু সংখ্যক সমর্থক রেফারির উপর চড়াও হয় এবং মাঠের বেশ কিছু চেয়ার ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে মাঠের বাহিরে খেলা পরিচালনা কমিটির লোকজন বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মাঠের বাহিরে সন্ধ্যার দিকে রাস্তা-ঘাটে চোরাগুপ্ত হামলা ছড়িয়ে পড়ে। বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকরা জানিয়েছেন তাদের অন্তত ৬০/৭০ জন দর্শক খেলা পরিচালনা কমিটির লোকজন হাতে আহত হয়েছেন। তাদের গাড়ী রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আটকি যাত্রিদের বেধড়ক মারধর ও একাধিক অটোরিক্সা(সিএনজি) গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। এ হামলা অব্যাহত রয়েছে।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ বীরদল এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। থানার ওসি (তদন্ত) আনওয়ার জাহিদ বলেছেন, ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনায় পুলিশ নিয়ন্ত্রনে এনেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।
খেলা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুনেদ হাসান জিবান জানান, ‘সেমিফাইনাল খেলায় একতরফা অন্যায় ও হামলা করেছে বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকরা। তারা মাঠের চেয়ার ভাংচুর ও অনেক কে মারধর করেছে। তবে বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকদের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।’