বালাগঞ্জে গোলাম রব্বানীর উদ্যোগে নির্বাচনোত্তর পুনর্মিলনী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৯, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবেনা’ বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলেও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনি উপজেলার সকক’টি ইউনিয়নে গিয়ে তার কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের খুঁজ-খবর নেন এবং তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ আব্যাহত রাখেন।
মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীর নুরপুস্থ বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনোত্তর এক পুনর্মিলনী অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এতে তার কর্মী, সমর্থক ও ভোটারসহ সর্বস্থরের লোকজন উপস্থিত হন। হাজী রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রতিদ্ধন্ধিতা করি। নির্বাচনে যে সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটার নিঃস্বার্থভাবে আমার পক্ষে কাজ করেছেন, আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মনোনয়ন দাখিলের আগ থেকে আমার কর্মী, সমর্থক ও সম্মানিত ভোটাররা দিনরাত অক্লান্ত শ্রম দিয়ে আমার সাথে থেকে নির্বাচনী কাজে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় আমি উপজেলার আনাচে-কানাচে নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। বিভিন্ন ভাবে প্রতিবনন্ধকতা সৃষ্টি করার কারণে আমার মা-বোন ও সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় তারা মর্মাহত হয়েছেন। আমার সমব্যাথি হয়ে অনেকেই নিরবেই চোখের জল ফেলেছেন এজন্য আমি সবার প্রতি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি আজীবন তাদের কাছে ঋনী হয়ে গেলাম। যারা আমার জন্য কষ্ট করেছেন তাদের সুখে-দু:খে আমি তাদের পাশে থাকতে অঙ্গিকারবদ্ধ রয়েছি। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমার অবস্থান থেকে আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব ইনশাঅল্লাহ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পাতানো এবং সাজানো নীলনকশার এই নির্বাচন শেষ পর্যন্ত নির্লজ্জ প্রহসনে পরিণত হওয়ায় আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হই। এই নির্বাচনই যে গণতন্ত্রের পিঠে সর্বশেষ পেরেক তা শেষবারের মতো প্রমাণিত হলো। প্রমাণিত হলো দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবেনা। ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম, সীমাহিন কারচুপি ও হামলা চালিয়ে অবৈধ্যভাবে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোটারদের ভোট দানে বাধা প্রদান করা হয়েছে। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে জাল ভোট দেয়া হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সবক’টি কেন্দ্রে রাতে ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাখা ও টেবিল কাস্ট করা হয়েছে। পোলিং এজেন্টদের মারধর ও তাদেরকে জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোট ডাকাতির নজির স্থাপন করা হয়েছে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, মকবুল মিয়া, জামাল আহমদ খলকু, মামুনুর রশিদ সোহেল, সিরাজুজ্জামান খান মঙ্গল, আব্দুল বারী, নওশের আলী, দিলা মিয়া, আজমল আলী মাসুক, নুর উদ্দিন পুতুল, বাবুল মিয়া, কামাল মিয়া, ইউপি সদস্য রিয়াদ আহমদ, মিজু আহমদ লুলু, সুমন আহমদ, শাহ আলম ফলিক, সুমিম আহমদ, রেজাউল ইসলাম, শুভ লস্কর, শাহজান, মিজান আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, বদরুল ইসলাম জাকির, ফয়েজ খান সাজু, আবু বক্কর জাকারিয়া, শামীম আহমদ, পামেল মিয়া, কামরুল ইসলাম, সাবুল আহমদ, হেলাল আহমদ ও সুহেল আহমদ প্রমুখ।