সিলেটে সেই ছাত্রকে বাস থেকে ফেলে হত্যার দায় স্বীকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০১৯, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের শেরপুরে ভাড়া নিয়ে বাক বিতণ্ডার জেরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিম হাফনানকে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয় বলে দায় স্বীকার করেছে ওই বাসের চালক ও হেলপার।
রোববার সকালে গাড়িচালক জুয়েল আহমদকে সিলেট ও সহকারী মাসুদ মিয়াকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে তাদের।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো. সোহেল আহম্মদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আদালতে প্রেরণ করার পর আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করব।
মামলা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, দাফন শেষে পরিবারে সদস্যরা মামলা করবে।
ওয়াসিম আফনান সিকৃবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চতুর্থবর্ষের ছাত্র। বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের রুদ্র গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও মা ডা. মীনা পারভিন।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সিলেট-ময়মনসিংহ রোডের উদার পরিবহন নামের একটি বাসের হেল্পার ও চালক মিলে এ হত্যাকাণ্ড চালায় বলে জানান ওয়াসিমের সহপাঠীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিকৃবির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী উদার পরিবহনের বাসে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) সিকৃবির ১১ শিক্ষার্থী ওঠেছিলেন। তারা শেরপুর এসে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য নেমে যাচ্ছিলেন। তখন ভাড়া নিয়ে বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ভাড়া পরিশোধ করে তারা বাস থেকে নেমে আসছিলেন। ওয়াসিম আফনান ছিলেন সবার পেছনে। তিনি বাস থেকে নামার আগেই তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর চালক বাসের স্পিড বাড়িয়ে দেয়। বাসটি ওয়াসিমকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
সঙ্গে থাকা সহপাঠী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাত পৌনে ৮টায় সিকৃবির ছাত্ররা ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময় উত্তেজিত ছাত্ররা বাসচালক ও হেলপারের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন এবং শহরের কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে ভাংচুর চালান।