সুনামগঞ্জ পুলিশ-বিজিবির মধ্যে দস্তাধস্তি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জে চোরাচালানের মালামাল জব্ধ নিয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বিজিবি জওয়ান।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকালে শহরের কাজির পয়েন্ট এলাকায় দুই বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আহত বিজিবি জওয়ানের পরিচয় জানা যায়নি।
বিজিবি জানায়- চোরাই পথে আসা ভারতীয় মালামালের এই চালানটি শহরতলীর ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে জব্ধ করে বিজিবি। জব্ধকৃত মালামাল অটোরিক্সায় করে শহরের নবীনগর বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিজিবির ওই চার জওয়ান।
প্রক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের কাজির পয়েন্টে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ভারতীয় মালামাল বোঝাই একটি অটোরিক্সার গতিরোধ করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক। পুলিশের এ কর্মকর্তা গাড়ি থামিয়ে ভেতরে কি দেখতে চাইলে মালামালের সাথে থাকা সাদা পোশাকের কয়েকজন জওয়ান তাদের পরিচয় দেন এবং গাড়ি তল্লাশি প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে চালককে গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা সাদা পোশাকের জওয়ানদের পরিচয় সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে গাড়ির মালামাল তল্লাশি না করে ছাড়বেন না বলে তাদের জানান। এতে বিজিবির জওয়ানরা ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার দিকে তেড়ে আসলে পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশ উপ-পরিদর্শক আব্দুল হক তার অস্ত্র বের করলে সেটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিজিবি জওয়ানরা। এ সময় মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন বিজিবির এক জওয়ান। এসময় পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে ধস্তাধস্তির এই ঘটনা শত শত মানুষকে প্রত্যক্ষ করেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তাদের মধ্যকার ধস্তাধস্তির দৃশ্য। খবর পেয়ে উভয় বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিষয়টি মিটমাট করে দেন। জব্ধ করা মালামাল বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৮ রাইফেল সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নাসির উদ্দিন আহমেদ পিএসসি সাংবাদিকদের জানান, দুই বাহিনীর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ সুপার ও আমার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন- পাশাপাশি কাজ করতে গেলে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং পরে মিটমাটও হয়ে যায়। আমাদের মাঝে সমন্বয়ের কোন কমতি নেই। সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ জানান, বিজিবির মাল আটক নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।