অবশেষে বিয়ানীবাজার মসজিদে হামলাকারী মাসুক ও তার পুত্র কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার পূর্ব সুপাতলায় গত রমজান মাসে আজান দেয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদ প্রাঙ্গনে সংঘর্ষের মামলায় এজাহারভূক্ত দু’আসামী মাসুক ও রুহেলকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
এ মামলায় অপর দু’আসামী মাসুকের জামাতা নওমুসলিম সুমন আহমদ ওরফে বিমল এবং গাড়ি ড্রাইভার হাসান পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলার ১নং আসামী মাসুক আহমদ ও তার পুত্র ৩নং আসামী রুহেল সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন।
দু’পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সুমি বেগম আসামী মাসুক ও রুহেলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন রাত ৩টায় পূর্ব সুপাতলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মিছবাহ আহমদ মাইকে মানুষকে সেহরি খাওয়ার আহ্বান করেন। ঘুমের অসুবিধার কথা বলে মাসুক আহমদ মুয়াজ্জিনকে মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে দু’জনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মারতে উদ্যত হয়। একপর্যায়ে প্রতিবেশি মাতাব উদ্দিন এগিয়ে এসে মাসুককে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু মাসুক আরো রাগান্বিত হয়ে সাথে থাকা রামদা দিয়ে মাতাব উদ্দিনকে কুপানো শুরু করেন।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মাসুক পক্ষের লোক কয়েক রাউন্ড বন্দুকের গুলি ছোঁড়ে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাতাব, জিলুকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত মামুনুর রশীদ জিলুর পুত্র ফাউজুল আজিম মিন্টু ৫ জনকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। এ মামলার ৪নং আসামী জুয়েল আহমদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্তি পান। এবং অপর দু’আসামী মাসুক ও রুহেল মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন পাননি। ফলে পিতা-পুত্র এখন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।