মৌলভীবাজারের হাওরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের হাকালুকি ও কাউয়াদীঘি হাওরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে হাওরে বন্যার পানি ফের বাড়লেও এখন তা নেমে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্র বিজয় শংকর চক্রবর্তী বলেন, ‘শেরপুরে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানির প্রবাহ খুব ধীর।’
সম্প্রতি কুশিয়ারা নদী, হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরে পানিবৃদ্ধির কারণে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে বন্যার সৃষ্টি হয়। ৪০ হাজার হেক্টর আয়তনের হাকালুকি হাওরকে ঘিরে আছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।
এদিকে, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মৌলভীবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৭০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৪৮টি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৪২টি, ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪৩ হেক্টর, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ৫২৫টি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৯০৮টি ও মৃতের সংখ্যা ১০ জন।
কুলাউড়া ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি এখনও বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। কারণ দিনে হাওরে পানি কমলেও, রাতে বৃষ্টির ফলে আবার বেড়ে যায়।’
ত্রাণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান মনির বলেন, ‘ভিজিএফ চাল ৪০০ জনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সোমবার উপজেলা ত্রাণ দুর্যোগ কমিটির সভা হয়েছিল। সেখানে নতুন করে ৫০ মেট্রিক টন জিআর,২০০ বান্ডিল টিন ও নগদ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’