সিলেট থেকে ফিরেই গ্রেনেড হামলার শিকার হন শেখ হাসিনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০১৭, ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর তালতলাস্থ গুলশান সেন্টার। দিনটি ছিল ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট। সবে মাত্র শেষ হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা। ঠিক তখনি গ্রেনেডের প্রচন্ড- বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠলো নগরীর পুরো তালতলা এলাকা। গ্রেনেডের আঘাতে দেখা গেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। আর তখনি উড়ে গেল সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলীর প্রাণপাখিটি।
নৃশংস ওই হামলার ঘটনায় আহত ২০ নেতাকর্মীকে দেখতে ১২ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আসেন। আহতদের খোঁজখবর নেওয়া ছাড়াও হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার সপ্তাহখানেক পরেই শেখ হাসিনা নিজেই গ্রেনেড হামলার শিকার হন। সেদিনটি ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট।
ওই সময়ে দেশব্যাপী বোমা হামলা, জঙ্গিদের আস্ফালন ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ডাকা হয়। সমাবেশ চলাকালে শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকা। রক্তের বন্যা বয়ে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। ঝরে যায় ২৪ তাজা প্রাণ। তাদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানও।
সেদিন ভাগ্যই যেন বাঁচিয়ে দিয়েছিল শেখ হাসিনাকে। হামলার সময় দেহরক্ষী কুষ্টিয়ার মাহবুব নিজের জীবন বিপন্ন করে শেখ হাসিনার জীবন বাঁচান।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘কাপুরুষের মতো ৭ আগস্ট এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদে ওই হামলা সংঘটিত হয়।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর যদি তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে ২১ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু ওই সময়কার সরকার ৭ আগস্টের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায়ও সঠিক তদন্ত করেনি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার।’