গোলাপগঞ্জে সুমাইয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি:
গোলাপগঞ্জের কন্যা রুহেলা আক্তার সুমাইয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ মাঠে নেমে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করছে। আজ গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হলে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়েছেন।
উপজেলা বাঘা ইউনিয়নের গোলাপনগর রজবমারা গ্রামের মৃত ময়বুর রহমানের কন্যা রুহেলা আক্তার সুমাইয়া (২৪) কে তার শশুর বাড়ী দক্ষিণ সুরমার কুচাই গ্রামে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার বিষয়টি বেশ রহস্যজনক বলে অনেকেই মনে করছেন। বিশেষ করে সুমাইয়ার লাশ যেভাবে ঝুলে ছিলো তাতে অনেকের অভিমত কোন ব্যক্তির পা মাটির উপরে ভর থাকলে মারা যাওয়ার কথা নয়। সুমাইয়ার হাঁটু ভাঙ্গা লাশের ছবিটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি বিশেষ করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে প্রচারিত হচ্ছে। এতে ক্ষোভে গর্জে উঠেছে সুমাইয়ার জন্মভূমি বাঘা ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগণ, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন পেশার মানুষ। গত শুক্রবার বিকেলে বাঘা সোনাপুর বাজারে মানববন্ধন করে শনিবার গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রতিবাদ স্বরূপ মানববন্ধনে ডাক দেয়া হয়। গতকাল বিকেল ৪টায় হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে উপজেলা সদরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হলে তাতে সভাপতিত্ব করেন বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন। বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাওলানা জাবেদ আহমদ ও তরুণ সমাজসেবী হিলাল আহমদের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদ, পৌরসভার কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, কাউন্সিলর ফজলুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, শ্রেষ্ঠ সমবায়ী ব্যক্তিত্ব আরজমন্দ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য ও রাজনীতিবীদ আব্দুল কাদির সেলিম, প্রবীন শিক্ষক হারুনুর রশীদ, তরুণ সমাজসেবী হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুল্লাহ দস্তগীর, সাংবাদিক এম.জি মোস্তফা প্রমুখ। উল্লেখ্য যে গত মঙ্গলবার রাত রুহেলা আক্তার সুমাইয়ার শশুর বাড়ী কুচাই গ্রামে তার মৃত্যু হয়। পরদিন ভোরে শশুরবাড়ীর লোকজন সুমাইয়ার পিত্রালয়ের লোকজনকে জানান সুমাইয়া গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশের ছবি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে তার পিত্রালয়ের লোকজন এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে দায় এড়াতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এজন্য তারা সুমাইয়ার স্বামী মাহমুদুল হাসান সুলতানকে দায়ী করছেন।