সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা : পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও উপজেলার দুটি পাথর কোয়ারিও রয়েছে বন্ধ।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। অনেকের বসত ঘরে পানি উঠায় গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। আবার অনেককেই তাদের গবাদি পশু নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজতে দেখা গেছে।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে পিয়াইন ও সারী নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলার পুর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পানিতে প্লাবিত হয়। এতে করে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। যার ফলে উপজেলা সদরের সাথে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এক রকম বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় ও বাউরবাগ হাওড় গ্রামের নদীর তীরবর্তী বসত বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। পাশাপাশি এই এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণ ও ফসলী জমি রক্ষায় বেড়িবাঁধগুলোও রয়েছে হুমকির মূখে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বোনা আমন ও বীজতলা ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিছনাকান্দি ও জাফলংয়ে দুটি পাথর কোয়ারির সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই দুটি পাথর কোয়ারির প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পরেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাটের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টদের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে মোকাবেলা করে দ্রুত রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রধানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।