সিলেটে চোখ উপড়ে যুবককে খুন করল মামাত বোন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০১৭, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
বাসায় ডেকে নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সহায়তায় চোখ উপড়ে ও অণ্ডকোষ থেঁতলে সিলেটের জৈন্তাপুরের জামাল হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামাত বোনের বিরুদ্ধে।
নৃশংস এই খুনের জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন – উপজেলার কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ির মইনুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগম (২২), সিরাজ উদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে আইনুল ইসলাম (৩২) ও জয়নুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে মনির (১৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জামাল হোসেনের সাথে তার মামাতো বোন আমেনার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পারিবারিকভাবে তাদের প্রেম মেনে নেওয়া হয়নি। উভয় পরিবার তাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিলো।
এ নিয়ে আমেনার শ্বশুরবাড়িতে ক্ষোভ ছিলো। গত শনিবার বিকেলে জামালকে আমেনার বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে আমেনা, তার স্বামী, দেবর, ভাসুর মিলে নৃশংসভাবে খুন করে জামাল হোসেনকে। এসময় তার একটি চোখ উপড়ে দেওয়ার পাশাপাশি অণ্ডকোষ থেঁতলে দেয়া হয়।
রাতের আধাঁরে কলসী নদীতে মৃতদেহের হাতে পায়ে পাথর ও ইট বেঁধে ডুবিয়ে দেয় তারা।
তিনদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে কলসী নদীতে জামালের মৃতদেহ ভেসে উঠে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত জামাল হোসেন (২৮) উপজেলার উপজেলার বিরাইমারা (গড়েরপার) গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, গত সোমবার রাতে জামালের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার থেকে এক সন্তানের জনক জামাল হোসেন (২৮) নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের ৩ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রি গ্রামের ফখর উদ্দিনের বাড়ীর সামনে থেকে কলসী নদীতে শরীরের সাথে পাথর বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি খান মো. মাইনুল জাকির আরো বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, মূলত পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছেন শ্রমিক জামাল। পুলিশ জামালের প্রেমিকা আমেনাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। আমেনার স্বামী পলাতক রয়েছে।