বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী লিটু হত্যাকান্ড : রিমান্ডে ৪ আসামী, মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের শ্রেণী কক্ষে গত ১৭ জুলাই সোমবার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী খালেদ আহমদ লিটু হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের দাবী, রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চলবে মামলার তদন্ত কার্য। শনিবার রাতে তাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার রাতে ও পরদিন রোববার সারাদিন চলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ।
এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, লিটু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামীকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এতথ্য মামলার তদন্তে আমাদের কাজে আসবে। তবে হত্যাকান্ডের দায় কেউ স্বীকার করেনি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ১০২ নং কক্ষে নিজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের পাশেই আকস্মিক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে নিহত হন উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ও পৌরশহরের খাসা পন্ডিতপাড়ার খলিলুর রহমান খলিলের একমাত্র পুত্র খালেদ আহমদ লিটু (২৬)। এঘটনায় পুলিশ একই গ্রুপের ৩ জনকে ঘটনার পরই আটক করে এবং রাতে একজনকে আটক করে মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করলেও এর রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি। এঘটনায় নিহত লিটু’র বাবা খলিলুর রহমান খলিল বাদী হয়ে পাভেল গ্রুপের নেতা পুলিশের হাতে আটক ফাহাদ (২৫), কামরান (২৬), এমদাদ (২৫), দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু (২৭) কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ছাড়াও এজাহারনামীয় আসামী করা হয়েছে একই গ্রুপের কাওছার (২৬), শিপু (২৪) ও সাহেদ (২৭)। আটক ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণের পর আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। গত রবিবার আদালত তাদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে শনিবার রাতে তাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে তাদের দেয়া তথ্যের উপরই নির্ভর করবে এই মামলার গতিবিধি।