বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী লিটু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামী ২ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৭, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে শ্রেণীকক্ষের ভিতরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অর্থনীতি বিভাগের ১০২ নং কক্ষে গত সোমবার দুপুরে নিজেদের অবস্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লিটু হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার আসামীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার সিলেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সমু চৌধুরীর আমল গ্রহণকারী আদালতে মামলার শুনানি শেষে আদালত চার আসামীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– ফাহাদ আহমদ, কামরান হোসেন, এমদাদ আহমদ, দেলওয়ার হোসেন মিষ্টু।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার লিটু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল হক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সমু চৌধুরীর আমল গ্রহণকারী আদালতে লিটু হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার আসামীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ড নৃশংস। এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। পরে শুনানি শেষে আদালত চার আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আটককৃতদের জিঞ্জাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত চার আসামীদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তাদের রিমান্ডে নিয়ে আসা হলে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে তিনি দাবী করেন। সেই সাথে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ১০২ নং শ্রেণী কক্ষের ভিতরে নিজেদের অবস্থানে পাইপগানের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী ও পৌর এলাকার খাসা পন্ডিতপাড়ার খলিলুর রহমানের একমাত্র ছেলে খালেদ আহমদ লিটু। লিটু পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী হলেও সে পাভেল গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলো। গ্রুপের সব মিছিল মিটিংয়ে তার সরব উপস্থিতি থাকত। লিটু নিহতের ঘটনায় পুলিশ ওইদিন তার গ্রুপের ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের লিটুর বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করলেও এ ঘটনার রহস্য এখন উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশের দাবী, গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে আসা হলে উদঘাটন হবে লিটু হত্যা রহস্যের।