গোলাপগঞ্জ সহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আট উপজেলার সড়ক মেরামতে শিক্ষামন্ত্রীর ডিও লেটার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০১৭, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা :সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কনাইঘাট উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা উপজেলার সড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ডিও লেটার প্রধান করেছেন সিলেট-৬ আসনের সাংসদ শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান গত ৩জুলাই থেকে ৯জুলাই বন্যা দূর্গত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনকালে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ উদ্যোগ নেন। জানা গেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সিলেট-গোলাপগঞ্জ-চারখাই-জকিগঞ্জ সড়ক, রাজনগর-কুলাউড়া-জুড়ী-বড়লেখা-বারইগ্রাম-বিয়ানীবাজার শেওলা-চারখাই সড়ক, গোলাপগঞ্জ-ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর সড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ২২ কিলোমিটার, বিয়ানীবাজারে ৪৯ কিলোমিটার সড়ক এছাড়া বালাগঞ্জে ৪০ কিলোমিটার, সিলেট সদরে ৩৫ কিলোমিটার, গোয়াইনঘাটে প্রায় ৩১ কিলোমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৫ কিলোমিটারসহ অন্যান্য উপজেলায় আরো কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক ব্যবহার করে ভারত- বাংলাদেশের জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ এবং সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে পন্য আমদানী-রফতানি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত না করায় সারাদেশের সাথে এসব উপজেলার মানুষের যোগাযোগে মারত্মক দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শিক্ষামন্ত্রীর পত্র পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানাগেছে। এর আগে গত ৭ জুলাই সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট বিভাগের সওজ ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও তা মেরামতে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার হিসাব এরই মধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। সওজ সূত্রে জানাগেছে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মাস দু-একের মধ্যে সংস্কার করা হবে। বাকিগুলোর কাজ আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে শুরু হবে।