সিলেটে শিক্ষার্থীকে মারধর : জনতার হাতে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক, পুলিশে সোপর্দ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭, ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট শহরতলীর কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক তরুনকে মারধরকালে ৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা সবাই এমসি কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে এক তরুণকে মারধর করতে থাকে আরো ৭ তরুণ। এসময় স্থানীয়রা মারধরকারী ৭ তরুণকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে।
মারধরের শিকার হওয়া তরুণের নাম জানা যায়নি। তবে তিনি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ও কলেজের ছাত্রাবাসে থাকতেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এর আগে সকালে এমসি কলেজ হোস্টেল ভাংচুর করে ছাত্রলীগের একটি অংশ। এই ঘটনার জেরে কুমারগাওয়ে মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আটকৃকতরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাওয়ার আবদুল মান্নানের ছেলে কাউসার, তাহিরপুর উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে শাওন, সুনামগঞ্জ সদরের অচিন্তপুর এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে রাফিজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের অরবিন্দ চৌধুরীর ছেলে নিউটন চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলার কালিজুড়ি রামনগর এলাকার আব্দুল হাসিমের ছেলে সোহাগ মিয়া, দিরাই উপজেলার কাউয়াজুড়ি গ্রামের আকিল আলীর ছেলে সুমন এবং মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ গ্রামের সুভাষ আচার্য্যের ছেলে সৌরভ আচার্য্য। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জুলাই এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি।
গত ৩১ মে, সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম উম্মে শারাবান তাহুরা বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন দুইবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে তা যথাযথ না হওয়ায় গ্রহণ করেননি আদালত।