শ্রীমঙ্গলে শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের মতবিনিময় সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র সহায়তায় শ্রীমঙ্গলে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন এর সভাপতিত্বে সনাকের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে সনাকের শিক্ষাখাতের কর্মসূচির ব্যাখ্যা করেন সনাক সভাপতি জনাব সৈয়দ নেসার আহমদ । অতপর বরুনা ফয়জুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝড়ে পড়া রোধ শিক্ষকদের শিক্ষার্থীর বাড়ী পরিদর্শন স্কুলের গর্তভরাট, শ্রেণী কক্ষের অপ্রতুলতা/বেঞ্চের স্বল্পতা প্রসঙ্গে স্কুলের সীমানা প্রাচীর স্থাপন, মেইটেইনেন্স খরচ বাবদ (সেফ প্রকল্প) সরকারী অনুদান বরাদ্দ করা এবং টেলিটক মোবাইল এজেন্ট এর কারনে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি সময় মত না পাওয়া প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা এবং এই বিষয়গুলো সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন শিক্ষাখাতে সনাকের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং তিনি বলেন বর্তমানে বরুনা ফয়জুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা নেই এবং সেখানে একজন ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। তিনি বলেন স্কুলের সীমানা প্রাচীর স্থাপরেন বিষয়টি আমার সাধ্যের বাইরে তবে এটি এসএমসি কমটি যদি উদ্যোগ নেন তাহলে স্থানীয়ভাবে ফান্ড সংগ্রহ করে এটি করা সম্ভব। স্কুলের গর্ত ভরাট এর বিষয়টিও উনার সাধ্যের বাইরে এটি আসলে ফান্ডের অভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। এটিও স্থানীয়ভাবে ফান্ড সংগ্রহ করে ভরাট করা করা সম্ভব যদি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয় তা হলে একটি সুরাহা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করা করেন। তিনি আরও বলেন স্কুলের শিক্ষকরা নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের বাড়ী পরিদর্শন করে থাকেন এবং ইদানিং বন্যার কারনে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদর উপস্থিতি একটু কম আশা করছি বন্যার পর উপস্থিতি বাড়বে। ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়া রোধে এবং উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি আরও বলেন সরকার বর্তমানে ১০০% উপবৃত্তি দিচ্ছে সে জন্য উপস্থিতি বাড়বে এবং আগামী ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে কোন স্কুলে ঝড়ে পড়া থাকবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিউর ক্যাশের মাধ্যমে স্কুলের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে বলেন এটি আসলে সরকারের একটি নতুন ইনোভেটিভ প্রকল্প এবং এতে লোকজন অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। দুর্নীতি যাতে কমে আসে সেজন্যই সরকার এই নতুন প্রকল্পটি হাত নিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সনাক সদস্য জহর তরফদার, স্বজন সমন্বয়ক সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, সদস্য রহিমা বেগম, টিআইরিব এরিয়া ম্যানেজার জনাব পারভেজ কৈরী প্রমুখ। তাছাড়ও সনাক শ্রীমঙ্গল এর ইয়েস সদস্যবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। সনাকের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে সর্বদা সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।