মৌলভীবাজারে ৮ বছরের শিশু ধর্ষনের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০১৭, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: জেলার রাজনগরে ৮ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ধর্ষককে।
জানা যায়, উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের প্রেমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃহস্পতিবার ২৫ মে সকালে ঝাড়–দার পাবলু মিয়ার হাতে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে। মেয়ে বাবা দুলাল মিয়া বাদী ২৮ মে থানায় একট মামলা দায়ের করছেন। ২য় শ্রেনীর ছাত্রী তার সহপাঠিদের নিয়ে স্কুলে গেলে ধর্ষক পাবলু মিয়া সহপাঠী ২ জন ছাত্রীকে স্কুলের পিছনে গাছের পাতা কুড়াতে বলে পাঠায় এবং লাঞ্চনার শিকার ছাত্রীর চাচাতো ভাই শরিফ মিয়াকে পাশের রুমে গামছা দিয়ে বেধে রেখে তাকে ধর্ষন করে বলে নির্যাতিত শিশুটি মৌলভীবাজার সদর হাসপতালের বিছানায় থেকে ঘটনার বর্ণনা জানায়।
২০ মিনিট পরে ধর্ষক পাবলু মিয়ার ভাই বাবলু মিয়া স্কুলে আসলে নির্যাতিত ছাত্রী ঘটনাটি বলে। তখন বাবলু এই ঘটনাটি কাউকে না বলতে মেয়েটিকে ৫ টাকা দিয়ে দোকান থেকে কিছু খেতে বলে। নির্যাতিতার বড় ভাই হৃদয় মিয়া রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি শুনে এগিয়ে আসলে বাবলু মিয়া বলেন, এ বিষয়টি বাড়িতে বা অন্য কারো কাছে বললে তোকে মেরে নদীতে ফেলে দিব। পরে হৃদয় মিয়া বাড়িতে এসে মা ও দাদীর কাছে বললে ওই দিন নির্যাতিতার মা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক লুৎফা বেগমের কাছে অভিযোগ করলে সন্তুষ্টজন উত্তর পাননি।
জানাযায়, স্কুলের নিয়োগ প্রাপ্ত ঝাড়ুদার বাবলু মিয়া হলেও তার পরিবর্তে ছোট ভাই পাবলু মিয়া স্কুলের ঝাড়–দারের দ্বায়িত্ব পালন করেন। নির্যাতিতার বাবা দুলাল মিয়া জানান বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে ২৭ মে শনিবার এলাকার মুড়লরা তাকে ডেকে নেন। সালিশে মেয়ের চিকিৎসা বাবত ৫ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত তাকে জানান ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টটেন্ট ফাতেমা মমতাজ রুজি জানান, শিশুটির পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে।
রাজনগর থানার সহকারি উপরিদশক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম সুরমা নিউজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা হয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িতকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।