মেয়র জি কে গউছের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আপিল খারিজ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্টের চেম্বার বিচারপতি।
রবিবার হাইকোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শোনানী শেষে সরকার পক্ষের আপিল খারিজ করে নো অর্ডার দেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। পরে ২৩ জানুয়ারী তিনি পৌরসভার দায়িত্ব ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
আদালত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করলে মেয়রের পদ ফিরে পান জি কে গউছ। কিন্তু দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবিগঞ্জ পৌরসভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি আসতে সময় লেগে যায় ২ মাস।
গত ২৩ মার্চ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। আবারও প্রাণ সঞ্চার হয় পৌরসভায়। স্বস্তি ফিরে আসে হবিগঞ্জ পৌরবাসীর মধ্যে। দায়িত্ব নিয়েই মেয়র জি কে গউছ পৌরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন। পায়ে হেঠে পৌরসভার বিভিন্ন প্রান্থে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের ড্রেনগুলো পরিস্কার করতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করেন। নিজে শ্রমিকদের সাথে থেকে এই কাজের তদারকি করেন।
২ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাঙ্খিত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবিগঞ্জ পৌরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধনে তিনি পুরোদমে শহরের এই প্রান্থ থেকে ওই প্রান্থ চষে বেড়িয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে একাধিকভার বৈঠকে মিলিত হন। পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাগবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কিন্তু মাত্র ১১ দিনের মাথায় গত ২ এপ্রিল আবারও মেয়র জি কে গউছকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ৩ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ চ্যালেন্স করে হাইকোর্টে রিট করেন মেয়র জি কে গউছ। আদালত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করেন। মাত্র ২ দিনের মাথায় ৪ এপ্রিল আবারও মেয়রের দায়িত্ব গ্রহন করেন জি কে গউছ।
এদিকে মেয়র জি কে গউছকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রারের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার পক্ষ। গতকাল রবিবার হাইকোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শোনানী শেষে সরকার পক্ষের আপিল খারিজ করে নো ওয়ার্ডার দেন।
আদালতে মেয়র জি কে গউছের পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এডভোকেট মাসুদ রানা।