বিশ্বনাথে শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১০:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট জেলার বিশ্বনাথের লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর ও উদয়পুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে মধ্যস্থকারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । রবিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- শনিবার রাতে সিরাজপুর কাজী বাড়ির বার্ষিক ফাতেহা শরিফ চলাকালে শিরনি বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বিলপার গ্রামের নুরুল হকের পুত্র ছামি ও বিশ্বনাথের উদয়পুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র সাব্বির নামের এ দু’ শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন উপস্থিত মুরব্বিরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ছামির পক্ষে তার নানা বাড়ির গ্রাম বশিরপুর ও সাব্বিরের পক্ষে উদয়পুর গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রামবাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও রেলের পাথর ব্যবহার করে। খবর পেয়ে লামাকাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এর আগেই সুহেল (২৫), রুহেল (৩০), জলিল খান (৪৫), ফিরোজ আলী (৪০), কইতর (২২), রাজু (২০), হাফিজুর (৩০), জুয়েল (২০), দিলারা বেগম (৪৫), শুকুর আলী (৪২), লিটন (২০), সাব্বির (১১), শামীম (২২), সুন্দর (৩২), মজিদ মিয়া (৪৫), শিরন (৪০), মর্তুজ আলী (৪৫), মবশ্বির আলী (৫০), মাহবুবুর রহমান (৩৬), শানুর মিয়া ৩৫), আমির হোসেন ২৬), আসদ আলী (৩২), হুসেন মিয়া (৩৪) সাহেদ আলী (৩৪), আবদুল গফুর (৩৭), শফিক আলী (৪৫), আশকর আলী (৪৪), নুর উদ্দিন (২৮), হেলাল মিয়া (২৭), জমির আলী (৪০), শামীম আহমদ (২০), ফয়জুর রহমান (২৫), জামাল আহমদ (২১), মধ্যস্থকারি আশিক আলী (৩৬), ইলিয়াস আলী (৪০), আবুল কাশেম (১৮), কবির উদ্দিন সরকার (৫০), মেহমান ইছাক আলী (৫৫), ফয়জুল ইসলাম (৫০), নুরুল হক (৪৫) আহত হয়েছে।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কৈতক হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া জানান- শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। আহতরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরার পর বিষয়টি আপোষের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হবে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম জানিয়েছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে ছিলেন কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে আসার কারনে চেয়ারম্যান নিজেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন লিখিত এজাহার দায়ের করেনি।